কম বেশি নাক ডাকে প্রায় সকলেই কিন্তু সেটা অত্যধিক হলেই সমস্যা। অনেকে কানের উপর বালিশ দেয়, ভাল ঘুম না হওয়ার সারাদিন ধরে ক্লান্তি, আপনার সঙ্গীর সঙ্গে না শুয়ে অন্য ঘরে শুতে হয়, একে অন্যকে দোষারোপ করা- এই ধরণের নানা যন্ত্রণার শিকার হতে হয়। এই সমস্যা থেকেই আপনি মুক্তি পেতে পারেন যদি আপনি আপনার খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন এনে।

আগে জানা দরকার আমাদের নাক ডাকার কারণ। গলার মাংসপেশী যখন শিথিল হয়ে যায় তখনই নাক ডাকা তখন বেড়ে যায়, জিহ্বা কিছুটা  পেছন দিকে চলে যায় এবং কণ্ঠনালী আস্তে আস্তে  সরু হতে থাকে। যার ফলে কণ্ঠনালীর দেওয়ালগুলোতে কম্পন শুরু হয় আর নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাকে অদ্ভুত আওয়াজ হয়। এবারে রইল সেই

 যে ৬টি খাবার খেলে নাকডাকা থেকে নিস্তার পেতে পারেন –

১) মধু- মধু আপনার কণ্ঠনালীকে মসৃণ করতে সাহায্য করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি  গুণ। যেটি  স্বরনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমের আগে চায়ের সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেলে জিভের তৃপ্তির পাশাপাশি নাক ডাকাও কমবে।

২) চা– চা খেলে  শ্লেষ্মা কমে। ফলে নাক ডাকা কমে। চা খাবার সময় যে বাষ্প নির্গত হয় তা ন্যাসাল প্যাসেজকে প্রশমিত করে। এটি মিউকাসকে তরল করে যার ফলে নাক ডাকার  সমস্যার উপশম হয়।

৩) হলুদ- নাক ডাকার আরও একটি কারণ হল ইনফ্ল্যামেশন।  ফলে কন্ঠনালী বা নাকে যথেষ্ট পরিমাণে হাওয়া চলাচলের স্পেস থাকে না। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি খাবার। হলুদ-এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডান্ট কারকুমিন যা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। যে কোনও পানীয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৪) পিঁয়াজ- পিঁয়াজ নাকডাকার সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ মানেন অনেকেই। এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি পদার্থ  থাকে যা ন্যাসাল প্যাসেজকে পরিষ্কার রেখে বেশী পরিমাণে হাওয়া চলাচলে সাহায্য করে।

) সোয়া মিল্ক– অনেকেরই ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি থাকে। গরুর দুধে এই ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি বেশী পরিমাণে হয় ,তার থেকে যে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়, ফলে ন্যাসাল প্যাসেজ স্ফীত হয়ে ওঠে। এর থেকেই নাক ডাকার সূত্রপাত। এছাড়াও গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে মিউকাস থাকায় তা রেসপিরিটরি সিস্টেমের জন্যও ভালো নয়। সোয়া মিল্কে এসব সমস্যা নেই।

) মাছ  রেড মিট কম খাওয়া। রেড মিটের স্যাচুরেটেড ফ্যাটে থাকে যা গলার টিসু আর সাইনাসকে স্ফীত করে তোলে। মাছ খেলে (তৈলাক্ত মাছ) যে ফ্যাটি অ্যাসিড নির্গত হয়, তা ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে।

 132 total views,  2 views today