নিজস্ব প্রতিনিধি – জমি আন্দোলনের ভ‚মি নন্দীগ্রাম থেকেই এবার জিতে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাবনীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়াই করায় বিজেপি তাকে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করছে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, ‘কেউ কেউ বলে বেরাচ্ছে, আমি নাকি বাইরের লোক। আরে আমি তো বাংলার লোক। নিজেরা দিল্লি-রাজস্থানের লোকেদের নিয়ে আসছে। আর আমি কলকাতা থেকে এখানে দাঁড়াচ্ছি বলেই দোষ? আমি বহিরাগত হলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতাম? যারা হিন্দু-মুসলিম করছেন তাদের আমি বলে রাখি। আমিও হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না।’ মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে প্রথম কর্মিসভায় তৃণম‚ল নেত্রী মমতা এসব কথা বলেন। তিনি তার বক্তব্যে একাধিকবার বললেন, ‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম’। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম- একদিকে জমি আন্দোলনের ধাত্রীভ‚মি, অন্যদিকে মমতার রাজনৈতিক উত্থানের অন্যতম পীঠস্থান। তৃণম‚ল সুপ্রিমো এদিন জানান, তিনি ভেবেইছিলেন যে এবার হয় সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়াবেন। তবে, কেন নন্দীগ্রামকেই তিনি বেছে নিলেন তাও সাফ জানালেন এদিনের কর্মীসভায়। ভাষণের শুরুতেই এদিন জমি আন্দোলনের দিনগুলোর স্মৃতি স্মরণ করেন তৃণম‚ল নেত্রী। তুলে ধরেন সেদিনের কঠিন লড়াইয়ের কথা। বলেন, ‘আমি শেষভার যখন নন্দীগ্রামে এসেছিলাম তখন এখানকার বিধায়ক দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। বিধায়কপদ খালি ছিল। তখন আমি আপনাদের থেকে জানতে চাই যে, নন্দীগ্রামে যদি আমি দাঁড়াই তাহলে কেমন হবে? তখন আপনাদের সাহস-উন্মাদনা দেখে আমি নন্দীগ্রামের দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। মনে রাখবেন, ভুলতে পারি সবার নাম ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।’ এই প্রসঙ্গেই সিঙ্গুরে আন্দোলনের প্রসঙ্গ টানেন মমতা। বলেন, ‘সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামকে আমি যুক্ত করে দিয়েছিলাম। আমার ইচ্ছা ছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের মধ্যে যে কোনও একটা সিটে লড়াই করব। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামকেই বেছে নিয়েছি।’ পুরনো স্মৃতিচারণ করে মমতা বলেন, ‘ চন্ডিপুর থেকে নন্দীগ্রাম এসেছিলাম। কীভাবে তখন মানুষের ওপর অত্যাচার করা হয় তখন দেখেছিলাম। তার পর গোটা বাংলা জুডে আন্দোলন করেছি। সেই সময়ে তাহের, সুফিয়ানরা ছিল। ভয়ে অনেকে সেই সময়ে বের হয়নি। তিনি বলেন, ‘যদি মনে করেন আপনাদের ঘরের মেয়ে।

Loading