নিজস্ব প্রতিনিধি- আজ ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস৷ তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র ইমেল মারফৎ দলের সভাপতি সুব্রত বক্সী ও উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে পাঠিয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই উপেন বিশ্বাসের দলত্যাগ নিয়ে আলোড়ন পড়েছে ঘাসফুল শিবিরে। ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টকে সরকারকে হঠাতে সৈনিক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম উপেন বিশ্বাস। ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা আসন থেকে জেতার পর উপেন বিশ্বাসকে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যান দফতেরর মন্ত্রী করেছিলেন মমতা। ২০১৬-র নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা প্রাপ্ত এসসি-এসটি ফিনান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেছিলেন। দলের সিবিআই বিষয়ক পরামর্শদাতার দায়িত্বও ছিল উপেন বিশ্বাসের হাতে। বুধবার সমস্ত দায়িত্ব থেকেই অব্যাহতি চাইলেন উপেন বিশ্বাস।

২০০২ সালে সিবিআই-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন উপেন বিশ্বাস। তিনিই বিহারের ৯৫০ কোটি টাকার পশু খাদ্য মামলায় তিনিই লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরে সিএএ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ভিন্ন অবস্থান ছিল তাঁর। তার জেরেই কি দলত্যাগ উপেন বিশ্বাসের, উঠছে প্রশ্ন। বলে রাখি, ২০২০ সালে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে, সিএএ সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন। এমনকি নিজের বই ধর্ম অধর্মতে তিনি লিখেছিলেন সারদা কাণ্ড ভারতের অন্য যেকোনও তছরূপকেও হার মানাবে। এরপরই থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় বলে ঘাসফুল সূত্রে খবর৷ প্রসঙ্গত, ভোটের মুখে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষাল, সোনালী গুহ, মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্ত-সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতারা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। এবার কি সেই পথে পা বাড়াচ্ছেন উপেন বিশ্বাসও! রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে৷

সূএ:কলকাতা২৪×৭

Loading