নিজস্ব প্রতিনিধি – করোনার ভারতীয় ডাবল মিউট্যান্ট B.1.617.2 দ্রুত সংক্রমিত ও উচ্চ মৃত্যুর জন্য দায়ী ধরণটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর সে বিষয়েও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের অন্তত ৪৪ দেশে ইতিমধ্যে করোনার ভারতীয় নতুন ধরণ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও আরও পাঁচটি দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ। ধরণটিতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি দেখছে ব্রিটেনও। সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কথাও ভাবছে দেশটি। করোনার নিউ ওয়েভ বা নতুন ঢেউ অনেকটা সামাল দেয় যুক্তরাজ্য। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর যখন লক ডাউন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয় তখনই দেশটিতে উদ্বেগ বাড়ায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। নিশ্চিত হওয়া দুই হাজার রোগীর মধ্যে ১৬শই মিলেছে যুক্তরাজ্যে। কয়েক সপ্তাহ আগে লন্ডন ও উত্তর ইংল্যান্ডে প্রথম মেলে ভারতীয় ধরণটির। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তার দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময় কমিয়ে আনা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হয়েছে।
আমরা জানি, এটি দ্রুত সংক্রমণশীল। সেক্ষেত্রে কয়েকদিনের মধ্যে যদি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকহারে বাড়ে, তাহলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের যে পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের তা থেকে সরে আসতে হবে। শেষমেষ ভ্যাকসিনেই ভরসা রাখতে হবে। তাই যত দ্রত সম্ভব বাকি নাগরিকদের টিকার আওতায় আনবো আমরা। ‘ প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য ছাড়াও বিভিন্ন দেশ ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ঠেকাতে নিচ্ছে নানান পদক্ষেপ। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ভারত থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রেও।
122 total views, 2 views today