নিজস্ব প্রতিনিধি – হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের এবারের বিধানসভা নির্বাচনে। বিশেষ করে ৩ বছরে এক লাফে বিজেপির ৭ গুণ ভোট বেড়ে যাওয়ায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের। দ্বিতীয় দফায় বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই চার জেলার মোট ৩০টি আসনে ভোট হলেও সবার চোখ নন্দীগ্রামে। ২৯৪ আসনের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের এই আসনেই নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে লড়াই করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলেরই এক সময়ের কাণ্ডারি বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু অধিকারী। এখন পর্যন্ত বিধানসভায় বিজেপি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন না করলেও সরাসরি শাসক দল হওয়ার স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া শিবির। সে লক্ষ্যেই গুরুত্বপূর্ণ নন্দীগ্রাম নিয়ে বেশ আশাবাদী দলটি। ২০১১ সালে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে সিপিএম এবং কংগ্রেসই বিরোধী পক্ষের ভূমিকা পালন করছে। তবে ২০১৪ সালে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে গেরুয়া হাওয়া বইতে শুরু করেছে রাজ্যটিতে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২১১টি-তে জয়লাভ করে তৃণমূল। কংগ্রেস জয়লাভ করে ৪৪টি আসনে। সিপিএম-এর হাতে ওঠে ৩২টি আসন। মাত্র ৩টি আসনে জয় পায় বিজেপি। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যার বিচারে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসে বিজেপি। এক লাফে বিজেপি এগিয়ে যায় ১২১টি আসনে। ২০১৬ সালে বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩০টি কেন্দ্রে মোট ভোটের বিজেপি মাত্র ৭.৩৮ শতাংশ পেলেও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলে বাম-কংগ্রেসের ভোট ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কেও ভাগ বসায় গেরুয়া শিবির। গেরুয়া দাপটে ১৮টি আসনে এগিয়েছিল তৃণমূল আর বিজেপি এগিয়ে যায় ১২টি আসনে। ভোটের বিচারে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে গেলেও তৃণমূলে থাকাকালীনই যাদের নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি তাদের দলে টেনে বিজেপি কতটা সুবিধা করতে পারবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Loading