নিজস্ব প্রতিনিধি – সারাদিন ধরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের পরস্পরের প্রতি অভিযোগ, দুপক্ষের সমর্থকদের একে অপরের দিকে তেড়ে যাওয়া ইত্যাদি নিয়ে নন্দীগ্রাম সরগরম থাকলেও দ্বিতীয় পর্বের ভোট শেষে উভয়পক্ষই জেতার দাবি জানিয়েছে। সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার দাবি না করলেও তৃণমূল-বিজেপির লড়াইয়ে বহু সত্যিকথা বেরিয়ে আসায় এবারের ভোটকে জয় হিসেবেই দেখছেন সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে নেতারা দাবি করেন, নন্দীগ্রামে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই জিতবেন। বিজেপি হারবে বুঝেই কিছু কিছু জায়গায় হিংসার আশ্রয় নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতা হারার ভয়ে অন্য আসন থেকে দাঁড়াতে পারেন বলে যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল নেতত্ব। এই আজগুবি ভাষণ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে তারা। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের মোট আসনের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ যদি বিজেপি পায় তাহলে তা তাদের ভাগ্য বলে মেনে নিতে হবে। মমতার নেতৃত্বে ২০০ এর বেশি আসন জিতে আবারও সরকারে ফেরার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির তরফে ভোট শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটকে তারা গণতন্ত্রের জয় বলে বর্ণনা করেছে। বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী বিপুল ভোটে জিততে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় য়ে ৩০টি আসনে ভোট হয়েছে তার অন্তত ২৬টিতে বিজেপি জিতবে। তবে যেভাবে আশাতীতভাবে মানুষ ভোট দিয়েছেন তাতে ৩০টি আসনই বিজেপি পেতে পারে।

সর্বোচ্চ ভোট হয়তো তিনি পাবেন না। কিন্তু সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী এই ভোটকে সিপিএমের জয় হিসেবেই দেখছেন। তাঁর ব্যাখ্যা, এবারের ভোটে বহু মানুষকে আবার বুথমুখী করা গিয়েছে। যেভাবে অতীতে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে ষড়য়ন্ত্র রচনা করা হয়েছিল, তা এবারের ভোটে তৃণমূল-বিজেপির কাদা ছোড়াছুড়িতে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। মানুষের সামনে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, সেদিন কীভাবে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অসত্য প্রচার চালানো হয়েছিল। তাই এবারের ভোটে কার্যত সত্যের জয় হয়েছে, বামেদের জয় হয়েছে।

Loading