নিজস্ব প্রতিনিধি -পেগাসাস-কাণ্ডে সংসদসহ জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমশই নিজেকে মোদী-বিরোধী শিবিরের ‘মুখ’ করে তুলছেন। সক্রিয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদ অধিবেশনে প্রতিদিনই আসছেন সংবাদমাধ্যমের খবরে। প্রতিবেদন গুলিতে বলা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। পশ্চিমবঙ্গে বিপুল জয়ের পর এই প্রথম দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেখানে বিরোধী শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও হওয়ার কথা তার। মমতা যাবেন সংসদ ভবনেও। সেখানে দলের এমপিদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এর আগে বিধান সভায় ভূমিধস জয়ের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রচারণা শুরু হয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী ‘মুখ’ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায় ভার্চুয়ালবাসীদের অনেকেই। টুইটারে ইতিমধ্যে ট্রেন্ড হয়েছে, ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ হ্যাশট্যাগ প্রচার। বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির মোকাবিলায় তৃণমূলনেত্রীকে তুলে ধরার পক্ষে ভার্চুয়ালজগতে প্রচার শুরু হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিজেপি-বিরোধী নেটিজেনরা ধীরে ধীরে সেই প্রচারে শামিল হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব থেকে সদ্য অবসর নেয়া আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহে নেটিজেনদের আরও জোরালো হয়েছে সেই প্রচার। সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে,মমতার ছবি দিয়ে ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ হ্যাশট্যাগে প্রচার শুরু হয়। ভারতের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটবার্তায় বলেন, ‘বাংলা আজ যা ভাবছে, ভারত কাল তা ভাববে’। মোদী এবং অমিত শাহের মডেল ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে মনোজ লেখেন, ‘দিদিই আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। যে ভাবে উনি উন্নয়নের মডেল বাস্তবায়িত করে বাংলাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন’। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, দলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যসহ অনেকেই যোগ দিয়েছেন এই প্রচারে। উঠে আসছে মমতার পক্ষে নানা মন্তব্যও। কেউ লিখেছেন, ‘২০২৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতাই যোগ্য’। কারও মন্তব্য, ‘ভারত বাংলার মেয়েকে চায়’। কেউ বা লিখেছেন, ‘দিদিকে এবার প্রধানমন্ত্রী চাই’।
162 total views, 2 views today