সূর্য
কলমে – সুমন চক্রবর্তী
কোচবিহার
সূর্য বলল “সবাই শোনো উঠব আমি এবার
সময় হয়েছে এখন আমার ফুল ফুটিয়ে দেবার ।
মেঘকে বলছি সরে দাঁড়াও থেকো না আশপাশে
তোমার জালে বন্দি হলে ফুল কি করে হাসে” !
ভয়ে ভয়ে মেঘ সরলে ফুল উঠল হেসে
পাখিরা সব বাসা ছেড়ে উঠল পাখায় ভেসে ।
ফুল বলল ” শোন না মেয়ে স্কুলে যাচ্ছিস বুঝি
সারাটাদিন পাই না দেখা কোনখানে বল খুঁজি ?
স্কুলে তোর ফুল রয়েছে আমার মতো ফুটে
ইচ্ছে করে দেখতে তাদের মন যেতে চায় ছুটে ।
তোদের মতো মন পাই নি বলেই বসে থাকি
তোদের মতো আমরাও তো বাঁচার স্বপ্ন আঁকি”।
শনশনশন বাতাস এসে বলল ফুলের কানে
“সারাটাদিন ঘুরে বেড়াই সূর্য সেটা জানে ।
আমার রকম দু’প্রকারের ঠাণ্ডা এবং গরম
সূর্য আমায় উষ্ণ করলে ভীষণ লাগে শরম ।
আমি লজ্জায় পালিয়ে গেলে ঠাণ্ডা বায়ু আসে
ওঠাপড়ার জীবনধারা সমাজ ভালোবাসে”।
সন্ধে হতেই চাঁদ বলল”আমারও কাজ আছে
আমার আলোয় কতরকম প্রাণীর জীবন বাঁচে ।
কত রকম ফুল যে ফোটে হেসে আমার আলোয়
সূর্য উঠলে ওসব ফুলের মন থাকে না ভালোয়” ।
এসব শুনে আড়াল থেকে বৃষ্টি বলল “ওরে
সূর্য আছে বলেই সবার জীবন ওঠে গড়ে” ।