নিজস্ব প্রতিনিধি – রাজ্য–রাজনীতিতে এখন তোলপাড় করা খবর হলো, তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করতে চান তিনি। এই কথা তিনি দায়িত্ব পেয়েই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। কারণ, এই দায়িত্বটা অনেক বড়। তাছাড়া তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে কড়া নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। ’ সুতরাং মন দিয়ে কাজ করতেই হবে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পারফরম্যান্সই শেষ কথা।
একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান। এমনকি প্রার্থী হন তিনি। নির্বাচনে পরাজয় হলেও তার দৃঢ়চেতা মনোভাব ও বুদ্ধিমত্তা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যুব সমাজের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাই এখন যুব সভানেত্রীর মতো গুরুদায়িত্ব দেওয়া হলো তাকে।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে সায়নী বলেন, ‘গুরু দায়িত্ব তো বটেই। আগেরবারও বলেছিলাম মন দিয়ে রাজনীতি করতে এসেছি। দল, শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেছেন আমাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়। আমি তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব। আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে সংগঠনকে তৈরি করতে হবে। তাই সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়টি নিয়ে সায়নী ঘোষ বলেন, ‘নিজের মনে যুবশক্তিকে জায়গা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমিও যুব। আমার নিজের ৫০ বছর বয়স নয়। যুবদের চাহিদার কথা বলার জন্য, তাদের মনে পৌঁছানোর জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আত্মশক্তি নিয়ে নতুনভাবে গড়ে তুলব। পথটা মসৃণ নয়। তিন বছর সময় থাকলেও তা অনেক কম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য সৈনিক হিসেবে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব। ’
তাহলে অভিনয়ের কী হবে? তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভানেত্রী বলেন, ‘আমি চাই না মনোযোগ বিভক্ত হয়ে যাক। খুব প্রয়োজন না পড়লে অভিনয় করব না। একশো কুড়ি শতাংশ দিয়ে এখন রাজনীতিই করব। ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে বড় দায়িত্বও আসে। এখন এত বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ’ কী কথা হল তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে? তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, প্রোমোশন হচ্ছে অভিষেকের। কড়া নির্দেশ দিলেন, অনেক বড় দায়িত্ব। সামনে থেকে সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। সাবধানে কাজ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের যুব ইউনিটের দায়িত্ব তোমার হাতে দিলাম।
152 total views, 2 views today