গোটা দেশ আজ শোকাকুল। চিরঘুমের দেশে চলে গিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। সুরের আকাশে এহেন নক্ষত্রপতন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। নবতিপর গায়িকার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা তাঁর আরোগ্য কামনায় রত হয়েছিলেন। দিন কয়েক আগে প্রবাদপ্রতীম শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিতি খানিক ভাল হওয়ায় স্বস্তিতেই ছিলেন অনুরাগীরা। তবে শেষ রক্ষা আর হল না।

জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকেই করোনা থাবা বসানোর পর মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। তবে এবার অনুরাগীদের কোটি প্রার্থনাও আশাহত হল।

১৯২৯ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর মারাঠী, তবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পারদর্শী। থিয়েটারও করতেন। আর মা সেবন্তী ছিলেন কোঙ্কনী গায়িকা। বাবা-মায়ের কাছ থেকেই শৈশবে গানের প্রতি আনুরাগ্য তৈরি হয় লতার। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে লতাই ছিলেন সবথেকে বড়। চারের দশকে গায়িকা হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। তারপর পঞ্চাশ, ষাট-সত্তরেরর দশক থেকে নব্বইয়ের দশকেও চুটিয়ে প্লে-ব্যাক করেন লতা মঙ্গেশকর। বাংলা ভাষায় মোট ১৮৫টি গান গেয়েছেন তিনি। বাংলায় তাঁর গান গাওয়ার শুরু হেমন্ত কুমারের হাত ধরে। নিজে কখনও গাওয়া গানের রেকর্ড না রাখলেও, বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে হিসেব বলছে গোটা জীবনে ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন কিংবদন্তী এই গায়িকা।

জাতীয় পুরস্কার, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে, ভারত রত্ন থেকে শুরু করে ১৫টা বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার বেস্ট ফিমেল প্লে-ব্যাক জিতেছেন ৪বার, ২টো বিশেষ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার গিয়েছে তাঁর হাতে। এছাড়াও ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। প্রথম ভারতীয় যিনি লন্ডনের রয়্যাল আলবার্ট হলে পারফর্ম করেছিলেন।

Written by IE Bangla Entertainment Desk

Loading