শান্তি রায়চৌধুরী: গুজরাট রাজ্যে বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য ‘ভাইব্রান্ট গুজরাট সামিট ২০২২’ প্রকল্প চালুর পর ওই বিনিয়োগ নিয়ে সমঝোতা স্বাক্ষর করে রিলায়েন্স। এ বিনিয়োগে ৮ হাজার কোটি ডলার বা ৫ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। রিলায়েন্সের দাবি, ওই প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।

আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ওই রাজ্যে ১০০ গিগাওয়াটের পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা ও পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন ইকো সিস্টেম গড়ে তোলা হবে। গুজরাটের ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলি যাতে ‘গ্রিন হাইড্রোজেন’ ও অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে, সেজন্য উৎসাহ দেওয়া হবে।

রিলায়েন্স ১০০ গিগাওয়াটের পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির জন্য তারা কচ্ছ, বানসকান্থা ও ঢোলেরাতে জমি দেখছে। এছাড়া অপর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আরও ৬০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি। গুজরাটে আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বিনিয়োগ করা হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

এর পাশাপাশি গুজরাটে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সাড়ে ৭ হাজার কোটি এবং খুচরো ব্যবসার জন্য আরও ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চায় রিলায়েন্স। গুজরাটে নতুন বিনিয়োগের কথা প্রকাশিত হওয়ার পরে মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ০.৫৯ শতাংশ।

গুজরাটে এ বিনিয়োগ বাস্তবায়ন হলে ভারতের এ রাজ্যটি ২০৩৫ সাল কার্বন মুক্ত জালানি উৎপাদনে সক্ষম হবে। গত জুনে মুকেশ আম্বানি প্রথম নবায়নযোগ্য জালানি খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেন। এজন্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাও গড়ে তুলবেন মুকেশ আম্বানি। এধরনের উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেওয়া হবে। সোলার প্যানেল, ইলেক্ট্রোলাইজার ও ফুয়েল সেল তৈরি করতে হবে।

একই সঙ্গে আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে ৩.৩৭ বিলিয়ন ডলার খরচে বিদ্যমান জালানি প্লান্টগুলোর সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে। ভারতের জিও কোম্পানিকে ফাইভ জি প্রযুক্তি ব্যবহারে বিনিয়োগ করবেন আম্বানি।

ভারতে পুরোপুরি কার্বনমুক্ত জালানি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অপেক্ষা করতে হবে ২০৭০ সাল পর্যন্ত। ২০৩০ সাল নাগাদ ৫শ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করবে ভারত। প্রথমধাপে দেড়শ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

Loading