নিজস্ব প্রতিনিধি – আফগানিস্তানের জিডিপি আগামী এক বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ সঙ্কুচিত হতে পারে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। তারা বলছে, তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রত্যাহার একটি ‘অভূতপূর্ব আর্থিক ধাক্কা’।

কয়েক দশক ধরে আফগানিস্তানের অর্থনীতি যুদ্ধ ও খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এটিকে বিলিয়ন বিলিয়ন আন্তর্জাতিক সাহায্যের দ্বারা প্ররোচিত করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই হিমায়িত হয়ে যায় যখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে এবং তালেবানরা আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসে।

‘আন্তর্জাতিক সাহায্যের আকস্মিক নাটকীয় প্রত্যাহার একটি অভ‚তপূর্ব আর্থিক ধাক্কা,’ জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এশিয়ার পরিচালক কান্নি উইগনারাজা গতকাল বলেছেন।

প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, ‘এক বছরের মধ্যে জিডিপির প্রায় ২০ শতাংশের অর্থনৈতিক সঙ্কোচন, একটি পতন যা পরবর্তী বছরগুলোতে ৩০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।’ ‘সিরিয়ার অর্থনীতির তুলনামূলক সঙ্কোচনের অভিজ্ঞতা পেতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। আফগানিস্তানে পাঁচ মাসে এটি ঘটেছে,’ উইগনারাজা বলেছেন।

জাতিসংঘের অন্য একটি সূত্র বলেছে যে, ‘জনসংখ্যার চাহিদা এবং প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে, এটি এমন পরিস্থিতি যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এমনকি ইয়েমেন, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলাও এর কাছাকাছি আসেনি।’ আগে আন্তর্জাতিক সাহায্য আফগানিস্তানের জিডিপির ৪০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করত এবং এর বাজেটের ৮০ শতাংশ অর্থায়ন করত।

Loading