নিজস্ব প্রতিনিধি – টানা দ্বিতীয় বছরের মতো করোনায় কাহিল হতে চলেছে পর্যটন শিল্প। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, এ বছর মোট ক্ষতি দুই ট্রিলিয়ন ডলারও হতে পারে। করোনা সংকটের কারণে ২০২০ সালে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল পর্যটন শিল্পের। ভ্যাকসিন চলে আসায় এ বছর পর্যটন আবার চাঙা হয়ে উঠবে এমন আশা করা হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না।
সোমবার (ইউএনডাব্লিউটিও) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর সারা বিশ্বে পর্যটন শিল্পের ক্ষতি দু্ই ট্রিলিয়ন ডলার (১.৭৭ ট্রিলিয়ন ইউরো) হতে পারে। অবশ্য ২০২০ সালেও দুই ট্রিলিয়ন ডলারেরই ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গত বছরের তুলনায় আয় শতকরা ৫৮ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বছর শেষে সার্বিক চিত্রে বড় পরিবর্তনের আশা জাগে। কিন্তু বিশ্বের সব দেশে একই হারে করোনার টিকা না দেয়ায় এবং সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিভিন্ন দেশে আতঙ্ক ছড়ানোয় পর্যটন খাতে ক্ষতি বৃদ্ধির আশঙ্কা আবার বেড়েছে।
ইউএনডাব্লিউটিও-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে ইউরোপ এবং আমেরিকার পর্যটন শিল্পে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বিপরীতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ছিল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায়। ২০১৯ সালের তুলনায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর পর্যটনের সার্বিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯৫ ভাগ। এ পরিস্থিতির মূল কারণ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীনসহ কিছু দেশ ‘জিরো কোভিড’ নীতিতে চলায় সেসব দেশে ২০২১ সালেও পর্যটক যেতে পারেনি। তবে ২০২১ সালে ক্রোয়েশিয়া, মেক্সিকো এবং তুরস্কের পর্যটন-নীতি ছিল ভিন্ন। চলতি বছর ধীরে ধীরে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে শুরু করায় এসব দেশের পর্যটন শিল্পে চাঙাভাব ফিরে আসে। তবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করায় আবার দেশে দেশে করোনাবিধির কঠোর প্রয়োগ শুরু হয়েছে। সব দেশে সমান হারে টিকা না দেয়ায় করোনা পরিস্থিতির আবার অবনতি হচ্ছে। বছরের বাকি সময়ে এর প্রভাব পর্যটন শিল্পে পড়বে বলে ইউএনডাব্লিউটিও-র আশঙ্কা।