নিজস্ব প্রতিনিধি – কোভিড সংক্রমণ ধরার জন্য আরটিপিসিআর সবচেয়ে ভালো রাস্তা। কিন্তু প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য অনেকেই র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট-এর সাহায্য নেন।

খুব কম খরচে এই পরীক্ষা করে টের পাওয়া যায়, কোভিড সংক্রমণ হয়েছে কি না। কিন্তু এই পরীক্ষা থেকে কি বলা যাবে, ওমিক্রন হয়েছে কি না? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

হালে কেজ অব আমেরিকান প্যাথোলজিস্টস-এর প্রধান চিকিৎসক এমিলি ভল্ক এই বিষয়ে নিয়ে চালানো একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ডেল্টা, আল্ফা বা অন্য যে কোনও রূপের মতোই ওমিক্রনও এই পরীক্ষায় ধরা সম্ভব।

কিন্তু করোনার অন্য রূপগুলো যতটা সহজে এই পরীক্ষায় ধরা পড়ে, ওমিক্রন ততটা সহজে ধরা পড়ে না। অন্তত প্রাথমিক তথ্য সেটাই বলছে।

এ তো গেল শুধু কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত করার বিষয়। কিন্তু কোন রূপের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন, অর্থাৎ ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস নাকি ওমিক্রন— কোনটায় সংক্রমিত হয়েছেন, তা কি বাড়ির এই পরীক্ষাতেই বোঝা যেতে পারে? এখনও তেমন কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।

করোনার কোন রূপটা সংক্রমিত হয়েছে সেটা বোঝার জন্য নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা রয়েছে। সেই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেলেই একমাত্র এটা টের পাওয়া সম্ভব। আলাদা করে র‌্যাপিড পরীক্ষায় এটি এখনও পর্যন্ত টের পাওয়া সম্ভব নয়। তেমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে আগামী দিনে যাতে বাড়িতে বসেই র‌্যাপিড পরীক্ষার মাধ্যমে করোনার রূপটিকেও চিহ্নিত করা যায়, সে বিষয়ে গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন তারা। তার আগে পর্যন্ত গলা খুসখুস, ক্লান্তি, মাথাব্যথার মতো কিছু লক্ষণকেই ওমিক্রনেক প্রাথমিক লক্ষণ বলে মনে রাখতে বলছেন তাঁরা। এই সব লক্ষণ দেখলে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি দ্রুত কোন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন, তার পরীক্ষাও করিয়ে নিতে বলছেন চিকিৎসকরা।

Loading