কবিতা – বীরসিংহের সিংহশিশু
সোনালী মুখার্জী
……………………..
হে বীর,তোমায় নমি
শত কোটি বার,
জ্ঞানের গভীরতায় তুমি
জ্ঞানসাগর।
বিদ্যার গভীরতায় তুমি বিদ্যাসাগর।
দানের তোমার শেষ নেই তাই তো তুমিই দান সাগর।
তুমি না লিখলে বর্ণপরিচয়,
আমরা কেমনে শিখতাম বানান।
সেই ছোট্ট মেয়েটি যার বয়স মোটে পাঁচ
সে নাচতে নাচতে বন্ধুদের বললো,
কী মজা আমি বিধবা হয়েছি,
তোমার চোখের জল থামেনি তার জন্য,
একাদশীর দিন,ছোট্ট মেয়েটা দেখলো সকলে কত কিছু খাচ্ছে
লুচি,আলুরদম,ছোলার ডাল
মাকে বললো মা,আমাকে খেতে দাও,
বড্ড ক্ষিদে পেয়েছে গো,
ছিঃ! মা অমন কথা বলতে নেই
তুমি বিধবা,আজ খেতে নেই
সেই অনুষ্ঠানে খাওনি তুমি কিছুই।
অবশেষে বহু খাঠ খড় পুড়িয়ে করলে বিধবা বিবাহ আইন পাশ,
মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে তোমার জুড়ি মেলা ভার।
গড়লে তুমি মেয়েদের পড়ার জন্য বিদ্যালয়,
লিখলে কত বই।
কত অন্যায়ের করেছ প্রতিবাদ,
মায়ের প্রতি অগাধ ভক্তি,
মায়ের আদেশ করতে পালন,
ভরা বর্ষায় করলে দামোদর পার।
ষ জীবনটি কাটালে তুমি কার্মাটারে।
বহু গরীব দুখি সাঁওতালদের মাঝে,
ওদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ফাঁকে,
তুলে দিতে হাতে খাবার জন্য
রাখা যত ভুট্টা।
এই আজকের দিনে ঊনত্রিশে জুলাই,বহু দুঃখ বুকে নিয়ে চলে গেলে অনন্তলোকে,
তুমি যে বীর সিংহের সিংহ শিশু।