“উমা এল , গেল অপেক্ষা করি আবার বছর ভর”

কলমে:-  শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য্য

 

“নবমী নিশি রে তোর দয়া নাই এত করে সাধিলাম তবু হইলি ভোর”  হিন্ধু ধর্মের বড় পূজো হলো দূর্গা পূজো।

 মেয়েরা বড় হয়ে গেলে তাদেরকে বিয়ে দিয়ে স্বামীর  ঘরে পাঠিয়ে দিতে হয় তেমনি উমা মাকেও স্বামীর ঘরে যেতে হয়েছে।

পূজোর সময় সব মেয়েরাই বাপের বাড়ি আসে  । উমা মা ও স্বপরিবারে চার দিনের জন্য বাপের বাড়ি আসেন।

মর্তের উমারা এই  দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে।

এই পূজোয় নতুন জামা কাপড়  জুতো ভালো খাওয়া দাওয়া  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয় খুব মজা হয়।

এই চারদিনের আনন্দের পর মা উমা স্বামীর ঘরে চলে যাওয়ার পর  মর্তের উমারা সত্যিই  ভারাক্রান্ত হয়ে পরে।

আবার এক বছর অপেক্ষায় থাকা  — মা উমা আসবেন।

 “আমরা বলে থাকি আসছে বছর আবার হবে” । লক্ষী পূজো কালী পূজো সরস্বতী পূজো, বাসন্তী পূজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, দোল উৎসব , রথযাত্রা , ঝুলন পূর্ণিমা, জন্মাষ্টমী, রাখি বন্ধন মানে বাঙালির বারোমাসে তের পার্বণ লেগেই থাকে। তবুও মা উমা চলে যাওয়ার দুঃখ আমাদের মনে থেকেই যায়।

মর্তের উমারা এই চার দিন নিজের হাতে মায়ের জোগাড় করা ফুল তোলা মালা গাঁথা  এই সব কাজে লিপ্ত থাকে।

 মর্তের সব উমা রা  কি এই আনন্দে যোগ দিতে পারে ?  তাদের আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় এই আনন্দ থেকে কিছু টা হলেও  বঞ্চিত হয়।

তবুও মর্তের  উমারা ঐ আনন্দের আঁচ টুকু পাওয়ার জন্য আবার একটি বছর অপেক্ষা করে। স্বর্গের  মা উমা চলে যাওয়ায়  এখান কার উমাদের মন  ভারাক্রান্ত হয় । উৎসবের আনন্দের মাঝে কতো অসম্মান ও অশ্রু ঝরা মন থাকে , তার হিসাব কতজনই বা মনে রাখে?।

তবুও তারা দূরবীনে চোখ লাগায় উমা মায়ের ফেরার প্রতিক্ষায়।

Loading