অচেনা নারীর গল্প

কলমে -পাপিয়া বসু

মাম্পু,স্কুলে ক্লাস হয় না। শুধু শুধুই বসে থেকে লাভ নেই। রান্না ঘরে মা বললে, কাল তো বললি না।এখন এই স্কুলে যাওয়া র সময় তাল বাহানা শুরু হয়েছে। এমা,এসে কে কি কানপরা দিয়েছে শুনি।ঘরের ভেতর পড়বি । পড়ে উল্টে যাব।স্কুলে  গিয়ে বসে থাকবি তাও ভাল। রূনার সাথে ঘোরাঘুরি আমার একদম পছন্দ নয়।

মিসেস রূবি গুহ একজন অভিজাত ঘরের মহিলা।একজন অভিজাত গৃহিনী  ছেলে মেয়ে র স্বামীর সেবা করা। একপ্রকার চাকরি।স্বামী বড় ব্যবসায়ী ।তেমন

তাই তাকে সম্পূর্ণ সময় দিতে হয় বাচ্চাদের।

অবসরে বই আর কেনাকাটা অঢেল সম্পদ।

অত গুছোল জীবন কত সুখ।

কিন্ত তাকে মাঝে মধ্যেই উদাস ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে অবাক হই।

মাপ্পু, আজ আমি স্কুলে যাচ্ছি।মেয়েদের সাথে স্কুলে যাবার  সময় একটু চুপ করে দাঁড়াল।

রূবি গুহ গ্রামের সমস্ত মহিলার থেকে অনেক বুদ্ধিমতি।

রূবি গুহ গ্রামের মধ্যেই বড় হয়েছে।অনিতা তার দুসম্পর্কের ভাগনি হয়। গতবার এস এস সি তে ফেল করার পর অনিতা র ব্যবস্থা করা যায় নি।

অনিতা শুদ্ধ কথা বলে যে কারনে সেই তাকে নিয়ে এসেছেন।

পিসীমা অনেক দিন পর এসেছেন। ওনাকে সমস্ত কাজ বুঝিয়ে দিলেন।

অনিতা মনোজ কে পছন্দ করেন। কিন্ত মনোজ এর চোখে সেই সুন্দর দেহ যার চোখে মায়া ভরা আদর

কিন্ত  মনোজ কোন দিন মুখ ফুটে বলতে পারেন নি

তবুও মনোজ এর সুন্দর মনটা পড়তে কোন অসুবিধা হয়নি।

রূবি গুহ একজন মেজাজী মহিলা।

প্রত্যেকে তার চোখের পাতায় নাচায়। আর তাকেই সবাই  সমজে চলে।কিন্ত নিজের জীবন এ সে খুব  খুশি কি?

না একদম নয়। সে ভীষণ অসুখী।

স্বামীর এখন ছুটি।অসুবিধার  টাইম টাইম সব কিছু করা।

না  হলেই মার ধর ।অত্যাচার সহ্য করার পর চুপ থাকতো।

মানুষের একটা সময় মানসিক বৈকল্য আসে।

নারী ও পুরুষ সেই মানসিক বৈকল্য ভয়াবহ তরঙ্গে

আচড়ে পড়ে।

আমাদের সভ্যতার এই সুখী সমাজ এর শিরায় শিরায়। ।

……………………………………………………………………………………………………

 

 

 

Loading