কিডনির ভেতরে মিনারেল জমে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মতো পদার্থ তৈরি করে; একে কিডনি পাথর বলা হয়। অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের ডিপোজিশন হলে এই রোগের উৎপত্তি হয়। বর্তমানে কিডনিতে পাথর এখন খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী বা পুরুষ সবাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই পাথর ক্ষতিগ্রস্ত করছে শরীরের কিডনিকে। আর দেরিতে এই রোগ ধরা পড়ায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।
তবে এই কিডনি স্টোন আমাদের প্রতিদিনকার জীবনযাপনের কারণেই হয়। আমাদের জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস পাল্টালে কিডনির বিপদও এড়ানো যায়। এর জন্য প্রাত্যহিক জীবনে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন।
ভারতীয় মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শৈলেশচন্দ্র সহায় এমনই কয়েকটি টিপস দিলেন। এই টিপস মানলে কিডনি পাথর ও তা থেকে কিডনি বিকল হওয়ার মতো বিপদ এড়ানো সম্ভব।
হাইড্রেশন : বিভিন্ন খনিজ পদার্থ কিডনিতে জমে পাথরের আকার নেয়। তাই এই খনিজ পদার্থ যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এ জন্য প্রতিদিন জলবেশি করে খেতে হবে। এতে মূত্রের ঘনত্ব অনেকটাই কমে যায়। ফলে খনিজ পদার্থ সহজেই পরিশ্রুত হয়ে বেরিয়ে যায়।
সোডিয়াম খাওয়া কমাতে হবে: কিডনি ভালো রাখতে চাইলে সোডিয়াম খাওয়া কমাতে হবে। অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমা করে। এর ফলে কিডনি স্টোনের আশঙ্কা যায় বেড়ে। প্রতিদিন খাবারে তাই লবণের পরিমাণ সীমিত রাখুন।
কম ক্যালসিয়াম খান : ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে বিশেষ জরুরি। কিন্তু একইসঙ্গে এটি কিডনির বিপদ ডেকে আনে। এটি জমাট বেঁধে স্টোন তৈরি করে। তাই রোজকার খাবারে পরিমিত ক্যালসিয়াম রাখুন। তাহলেই ভালো থাকবে কিডনি।
অক্সালেটসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন : বাদাম, চকোলেট, বিট ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে। যা কিডনিতে পৌঁছে পাথরের আকারে জমতে শুরু করে। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি তাই অক্সালেটসমৃদ্ধ খাবারও খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।
প্রোটিন সীমিত খান : বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে ভালোবাসেন? এতেই বিপদ ডেকে আনছেন নিজের। উচ্চমাত্রার প্রোটিন কিডনি পরিশ্রুত করতে পারে না। এর ফলে কিডনিতে সেটি অল্প অল্প করে জমতে শুরু করে। যা পরে পাথরের আকার নেয়। তাই খাবারের মধ্যে রোজ উচ্চমাত্রার প্রোটিন না রাখাই ভালো।
__________________________________________________________
__________________________________________________________
__________________________________________________________