নিজস্ব প্রতিনিধি – বড় ধরনের খাদ্য সংকটের মুখে আফগানিস্তান। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে দেশটির ৫৫ শতাংশ জনগণ বা প্রায় ২৩ মিলিয়ন মানুষ জরুরি খাদ্য সংকটে পড়বে। নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র জানান, গত সপ্তাহে পুরো আফগানিস্তানজুড়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহিংসতা হয়েছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা। গত ১ নভেম্বর নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে লক্ষ্য করে চালালো গুলির আঘাতে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর দুইদিন পর বুধবার, একটি রাস্তার পাশে পুতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। পরদিন বামিয়ান প্রদেশে অস্ত্র সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এতে এক বেসামরিক নাগরিকসহ পাঁচজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সম্পর্কিত অফিস তাদের এক রিপোর্টে জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানের ১১ মিলিয়ন মানুষকে সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ৬০৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ অর্থ পাওয়া গেছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সংস্থা এবং তাদের সহযোগিরা শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আফগানিস্তানের ৪৮ হাজার ৩৮৩ জন শিশুর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি ৮২ হাজার ৭৬১ জনকে জরুরি আশ্রয় এবং ৪.১ মিলিয়ন মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।