নিজস্ব প্রতিনিধি – জম্পেশ আড্ডার অনুষঙ্গ ও ক্লান্তিমুক্তির টনিক হিসেবে কফির সমাদর বিশ্বব্যাপী। এবার জানা গেল, স্মৃতি ভুলে যাওয়া রোধসহ আয়ু বাড়াতেও এই পানীয়টি রাখে চমৎকার ভূমিকা। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনের বরাত দিয়ে পজিটিভ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কফি পানে বিষণ্নতা, লিভার সিরোসিস-ক্যানসার, মেলানোমা, প্রোস্টেট ক্যানসার, পারকিনসন্স ডিজিজ, হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস ও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে। এ ক্ষেত্রে কফিতে থাকা কিছু স্বাস্থ্যকরী উপাদানের ভূমিকা রয়েছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুসারে, কফি আলঝেইমার (ভুলে যাওয়া রোগ) থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। নিয়মিত কফি পান করেন এমন লোকদের করোনারি হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কফি পান না করাদের তুলনায় অনেক কম।

২ লাখের বেশি লোকের ওপর ৩০ বছর গবেষণা চালিয়ে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন জানায়, দিনে ৩ থেকে ৫ কাপ কফি পান করেন এমন লোকদের অকালমৃত্যুর হার বাকিদের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম। গবেষকদের দাবি, কফিতে থাকা পলিফেনল ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদ্‌রোগ এবং ক্যানসার মোকাবিলা করে।

 কফি পুষ্টিরও এক বিরাট উৎস। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম এবং রিবোফ্লোবিন। আমেরিকান ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একক সেরা উৎস হিসেবে ধরা হয়।

এক প্যাকেজে এত কিছুর মানে এই নয় যে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য কফি একমাত্র ভরসা হওয়া উচিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার, প্রচুর পানি পান, শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত। একই সঙ্গে ধূমপান না করা এবং বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।

Loading