নিজস্ব প্রতিনিধি – এখনও বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিত মিলছে। তৃণমূল  সূত্রে খবর, ফের সর্বভারতীয়স্তরে মুকুল রায়কে কাজে লাগাতে পারে দল। মুকুল রায়কে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে এখনই এব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলার সময় আসেনি। তবে আলোচনা চলছে তৃণমূলের অন্দরে। ইতিমধ্যে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুকুল রায়ের একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে।

দিন কয়েক আগেই ছেলে শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। অবশেষে মুকুল রায় দলে ফেরায় খুশি তৃণমূলনেত্রী স্বয়ং। তিনি বলেন, ‘‘ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড। মুকুল আমাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি। আরও অনেকে দলে আসন।’’ অন্যদিকে তৃণমূলে ফিরে উচ্ছ্বসিত মুকুল রায় নিজেও। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের মধ্যে কোনও মতবিরোধ ছিল না। বিজেপি করব না তাই পুরনো দলে এলাম। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে কেউ থাকবে না।’’

তৃণমূলে যোগদানের ঠিক পরের দিনই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠক করেছেন মুকুল রায়। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ মুকুল রায়। বাংলা ছাড়াও ভিনরাজ্যের নেতাদের সঙ্গেও মুকুল রায়ের সখ্যতা রয়েছে। রেল , জাহাজ মন্ত্রকের মতো কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদের দায়িত্ব সামলানোর জেরে তাঁর সঙ্গে অন্য দলের নেতাদেরও ভালো সম্পর্ক আছে। সেই কারণেই মুকুল রায়কে ফের সর্বভারতীয় স্তরের কোনও পদ দেওয়ার ভাবনা তৃণমূলের। যদিও এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত পাকাপাকি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

মুকুল রায়ের পর এবার রাজ্যে আরও একাধিক বিজেপি নেতা তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনালী গুহ থেকে শুরু করে প্রবীর ঘোষাল, দীপেন্দু বিশ্বাসরা তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। জেলাগুলিতেও মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বহু নেতা ফের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসতে চাইছেন। অনেকেই সরাসরি মুকুল রায়কে ফোন করে দলবদলের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে।

Loading