অনেক সময়ই অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানের জন্য সময় বের করে তাদের দুর্ব্যবহারের জন্য তাদেরকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন – তারা রাগ দেখাতে শুরু করে, কখনও রেগে হয়ে যায়, মোবাইল বা অন্যান্য যন্ত্রে আসক্ত হয়ে পড়ে, পড়াশুনা করতে চায় না, অমনোযোগী হয়ে পড়ে, কারোর কথা শুনতে চায় না; এই রূপ নানা রকম পরিবর্তন ঘটে তাদের মধ্যে। তখন মা-বাবারা সন্তানের সাথে বসে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। আমার মতে তাদের এই রকম আচরণের কারণ না জানা গেলে তাদের খারাপ ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। চিন্তাধারা, অনুভূতি ও আচরণের সম্পর্কের উপর অনেক গবেষণা হয়েছে। একে বলা হয় জ্ঞান ও আচরণগত থেরাপি। এটি মানসিক সাস্থের বিভিন্ন অবস্থার চিকিৎসার কারণে ব্যাবহার করা হয়। আমি এই চিকিৎসা পদ্ধতির গভীরে যেতে চাই না, শুধু একটা মিনিট নিতে চাই, এটি কত রকম ভাবে কার্যকরী হতে পারে তা বোঝাতে। একটি সদ্য স্কুলে যাওয়া শিশুর উদাহরণ যদি নিই, তাহলে তাঁকে নতুন স্কুলে গিয়ে অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় যেখানে তাকে অনেক নতুন নতুন ছেলে মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। যদি সেই শিশুটি ভাবে যে সে অন্য সকলের মতো যথেষ্ট ভাল নয়, তখন তার মনে হয় যে সে তার আশেপাশের বন্ধুবান্ধবের সাথে মেলামেশা করার যোগ্য নয়। তার মনে হয়তো নিজের সম্পর্কে দ্বিধা হতে শুরু করে, আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করে, যার কারণে তার আচরণ অত্যন্ত শান্ত ও লাজুক হয়ে যায়, অনেক অনিশ্চয়তার সঙ্গে সে তার আশেপাশের সকলের সাথে মেশা শুরু করে। এর কারণে হয়তো কেউ তার সঙ্গে নাও মিশতে পারে। অভিভাবক হিসাবে যখন আমাদের সন্তানদের এই আচরণ চোখে পড়ে এবং আমরা তাদেরকে বলি নির্দ্বিধায় সকলের সঙ্গে মেলামেশা করতে ও নতুন বন্ধু বানাতে। কিন্তু আমাদের চোখে পড়েনা তাদের এই হীনমন্যতা বা একা লাগার কারণ কি হতে পারে, যে কারণে তাদের মনে হয় যে তারা যথেষ্ট ভাল নয়। কাউন্সেলিং ‘এর সময় অনেক মা বাবাই নিজেদের ছেলেমেয়েদের সমস্যার সমাধান করতে চেয়ে বলেন; “ওকে বলুন কি ভাবে নতুন বন্ধু বানানো যায়” বা “কি ভাবে আরও আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায়”।

অনেক সময়ই অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানের জন্য সময় বের করে তাদের দুর্ব্যবহারের জন্য তাদেরকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন – তারা রাগ দেখাতে শুরু করে, কখনও রেগে হয়ে যায়, মোবাইল বা অন্যান্য যন্ত্রে আসক্ত হয়ে পড়ে, পড়াশুনা করতে চায় না, অমনোযোগী হয়ে পড়ে, কারোর কথা শুনতে চায় না; এই রূপ নানা রকম পরিবর্তন ঘটে তাদের মধ্যে। তখন মা-বাবারা সন্তানের সাথে বসে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। আমার মতে তাদের এই রকম আচরণের কারণ না জানা গেলে তাদের খারাপ ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। চিন্তাধারা, অনুভূতি ও আচরণের সম্পর্কের উপর অনেক গবেষণা হয়েছে। একে বলা হয় জ্ঞান ও আচরণগত থেরাপি। এটি মানসিক সাস্থের বিভিন্ন অবস্থার চিকিৎসার কারণে ব্যাবহার করা হয়। আমি এই চিকিৎসা পদ্ধতির গভীরে যেতে চাই না, শুধু একটা মিনিট নিতে চাই, এটি কত রকম ভাবে কার্যকরী হতে পারে তা বোঝাতে। একটি সদ্য স্কুলে যাওয়া শিশুর উদাহরণ যদি নিই, তাহলে তাঁকে নতুন স্কুলে গিয়ে অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় যেখানে তাকে অনেক নতুন নতুন ছেলে মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। যদি সেই শিশুটি

ভাবে যে সে অন্য সকলের মতো যথেষ্ট ভাল নয়, তখন তার মনে হয় যে সে তার আশেপাশের বন্ধুবান্ধবের সাথে মেলামেশা করার যোগ্য নয়। তার মনে হয়তো নিজের সম্পর্কে দ্বিধা হতে শুরু করে, আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করে, যার কারণে তার আচরণ অত্যন্ত শান্ত ও লাজুক হয়ে যায়, অনেক অনিশ্চয়তার সঙ্গে সে তার আশেপাশের সকলের সাথে মেশা শুরু করে। এর কারণে হয়তো কেউ তার সঙ্গে নাও মিশতে পারে। অভিভাবক হিসাবে যখন আমাদের সন্তানদের এই আচরণ চোখে পড়ে এবং আমরা তাদেরকে বলি নির্দ্বিধায় সকলের সঙ্গে মেলামেশা করতে ও নতুন বন্ধু বানাতে। কিন্তু আমাদের চোখে পড়েনা তাদের এই হীনমন্যতা বা একা লাগার কারণ কি হতে পারে, যে কারণে তাদের মনে হয় যে তারা যথেষ্ট ভাল নয়। কাউন্সেলিং ‘এর সময় অনেক মা বাবাই নিজেদের ছেলেমেয়েদের সমস্যার সমাধান করতে চেয়ে বলেন; “ওকে বলুন কি ভাবে নতুন বন্ধু বানানো যায়” বা “কি ভাবে আরও আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায়”।

এবার একটা এক রকম পরিস্থিতি দেখা যাক, কিন্তু এক্ষেত্রে শিশুটি  ভাবে যে আর সকল ছেলেমেয়েদের মতোই ভাল, নিজেকে সন্দেহ করার চেয়ে সে ভাবে “অন্যেরা কি তার বন্ধু হওয়ার জন্য যথেষ্ট যোগ্য।“

সে খুবই আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ অনুভব করে, যার ফলে

সে যখন অন্যদের সামনে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গিয়ে তাদের কাছে নিজের পরিচয় জানিয়ে, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়, তখন সকলে তাকে নিজেদের বন্ধু বানানোর জন্য রাজিও হয়।

এই দুটি ক্ষেত্রেই পরিস্থতি প্রায়ই এক। পার্থক্য হল শিশুদের নিজের ও নিজের পরিবেশের উপর বিশ্বাসের, যার ফলে তাদের হয় আত্মবিশ্বাস বা অনিশ্চয়তা নিয়ে কাটাতে হয়, ফলে তাদের আচরণগত অনেক পরিবর্তন আসে। তাহলে যখনই দেখা যাবে যে আমাদের সন্তানরা আমাদের মনের মতো আচরণ করছে না, তখন উপর উপর জিনিসটা কে না দেখে একটু গভীরে গিয়ে ভাবা দরকার। আসুন দেখা যাক তাদের মনের মধ্যে কি চলছে এবং তা চলার কারণ কী? কিন্তু তা দেখতে গিয়ে মনে রাখবেন তাদের ব্যপারে কোনও ভুল ধারণা তৈরি করে তাদের অযথা আগলে রাখার চেষ্টা করবেন না। এরকমটি করতে গিয়ে আমরা হয়তো বুঝতে পারি যে আমাদের সন্তানের মধ্যে এমন কোনও একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, যা আমরা কখনও চাইনি হোক। আপনি চেয়েছিলেন আপনার সন্তান আত্মবিশ্বাসী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হোক, কিন্তু তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের এতো অভাব হল কি করে? আর এর থেকে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আপনি কি এমন করেছেন বা বলেছেন যার কারণে আপনার সন্তান এরকম আচরণ করছে। বলাই বাহুল্য যে এই রকম চিন্তা আপনার জন্য মোটেই সুখকর নয়। প্রথমেই আপনাকে সন্তানের ও নিজের সমস্যাগুলো মেনে নিতে হবে। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনিও একজন ভাল অভিভাবক হয়ে উঠতে পারেন। আপনি যদি নিজেকে বিশ্বাস করেন, তাহলেই আপনার সন্তানও নিজেকে বিশ্বাস করতে পারবে। মনে রাখবেন আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ নন আর সেরকম হওয়ার চেষ্টাও করবেন না। আপনি যথেষ্ট ভাল, এবং ঠিক সেই ভাবেই আপনার সন্তানও যথেষ্ট ভাল। তাহলে যদি আপনার সন্তান রাগারাগি করে, তাহলে শুধুই তাকে আটকানোর চেষ্টা করবেন না, তাদের রাগ করার কারণটি ভাল করে বোঝার চেষ্টা করবেন। যদি আপনার সন্তান অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো কাজ করতে থাকে, তাহলে সেটিকে উড়িয়ে দেবেন না। তাদের কে যথেষ্ট সময় দিন, যাতে তারা অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো কোন কাজ না করে। যদি তারা কোনও যন্ত্রের প্রতি আসক্তি হয়, তাহলে সেই যন্ত্রটি তার কাছ থেকে কেড়ে না নিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন যে কি এমন শান্তি তারা ওই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে পাচ্ছে যা অন্য কিছু পূরণ করতে পারছে না। যদি তারা অমনোযোগী হয়ে পড়ে, তাহলে বোঝার চেষ্টা করুন তাদের মধ্যে কি এমন ভয়, দুশ্চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষা জন্ম নিচ্ছে; সেগুলি জেনে সেগুলিকে সামলানোর চেষ্টা করুন।

Loading