সাধারণতঃ শিশুরা মুখোরোচক মিষ্টি, টক, ঝাল, নোনতা  খাবার খেতে পছন্দ করে।  চকোলেট, আইসক্রিমতো শিশুদের অতি প্রিয়।  এর ফলে দাঁত ব্যথা করে, কখনও আবার দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। এসব যন্ত্রণা এড়াতে শিশুদের দাঁত ও মাড়ির যত্নে করণীয় কিছু পরামর্শ নীচে দেওয়া হল।

শিশুর ছয় মাস বয়সে যে দুধ দাঁত গজায়, তারও প্রয়োজন হয় বিশেষ কিছু  যত্ন। তাই রাতে দুধ খাওয়ানোর পর পাতলা কাপড় অথবা তুলা দিয়ে শিশুর দাঁতের ওপর থেকে দুধের আবরণ পরিষ্কার করে দিতে হয়।

শিশুদের বেশিরভাগ দাঁতব্যথার কারণ মাড়ির প্রদাহ ও ডেন্টাল ক্যারিজ।  দাঁতে পোকা বলতে কিছু হয় না।  শিশুকে নিয়মিত দু’ বেলা দাঁত পরিষ্কার করা, আঠালো চিনিযুক্ত যে কোনো খাবার (যেমন ক্যান্ডি, চকোলেট, চুইংগাম) খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করা ।

শিশুদের জন্য প্রয়োজন তাদের বয়স উপযোগী ব্রাশ ও টুথপেস্ট ব্যবহার করা।  ৬ মাস থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুর দুধ দাঁতের যত্নে ফ্লুওরাইডবিহীন টুথপেস্ট  ব্যবহার করা প্রয়োজন।  এ সময় দাঁতগুলো সঠিক জায়গায় আছে কিনা, তা না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মা ও পরিবারের সবার উচিত শিশুর সামনেই দাঁত ব্রাশ করা। শিশুরা অনুকরণপ্রিয় এবং শিশুরা যত দিন পর্যন্ত নিজেরা ব্রাশ করতে না শিখে, তাদের হাতে ধরে ব্রাশ করিয়ে দিতে হবে।

৫-১২ বছর বয়সি শিশুদের জন্য ব্যালেন্সড ফ্লুওরাইড টুথপেস্ট। টুথপেস্ট কেনার সময় ব্যালেন্সড ফ্লুওরাইড আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। বয়স অনুযায়ী  রয়েছে তিন ধরনের টুথপেস্ট। যেখানে ০ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রয়োজন জিরো ফ্লুওরাইড, ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের দাঁতের জন্য প্রয়োজন ব্যালেন্সড ফ্লুওরাইড (৫০০ থেকে ৬০০ পিপিএম) এবং বড়দের জন্য ফ্লুওরাইড প্রয়োজন ১০০০ পিপিএম।

 194 total views,  2 views today