স্বাস্থ্যই আমাদের সম্পদ- এই কথা সকলেই  শুনেছেন। এই সম্পদকে ধরে রাখার জন্য  যেটি প্রয়োজন  সেটি হল সঠিক বিপাক ক্রিয়া। বিপাক ক্রিয়া  শরীরের এমন একটি কাজ যেটা আমরা খাই বা পান করি সেগুলিকে শক্তিতে রুপান্তর করে।

এটি একটি  রাসায়নিক বিক্রিয়া যা আমাদের শরীরেই ঘটে চলে। বিপাকীয় হার এবং বিপাক ক্রিয়া অনেক সময় অদলবদল করে ব্যবহার হয়। বিপাকীয় হার আপনার শরীরে বার্ন ক্যালোরির সংখ্যা নির্ধারণ করে। আপনার বিপাক কেবল আপনার বিপাকীয় হারের চেয়ে বেশি পরিচালিত হয়। এটি আপনার রক্তে সুগার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

যদি আপনার বিপাকীয় হার বেশি হয়, আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও ক্যালোরি বার্ন করতে পারবেন এবং ক্যালোরি বার্নের দ্বারা আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। যদি আপনার বিপাকীয় হার ধীর হয়, তাহলে জীবনধারায় পরিবর্তন করেই আপনি আপনার বিপাক গতিকে সচল রাখতে পারবেন।

প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার খাওয়া আবশ্যক –

প্রোটিন পেশি তৈরিতে সহায়তা করে, ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে খাবারের চাহিদা পূরণ রাখতে সাহায্য করে। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে এই দুইটি উপাদান যুক্ত করুন। এর দ্বারা আপনার বিপাক ক্রিয়া আরও সচল হয়ে উঠবে এবং আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।

সব সময় হাইড্রেট থাকুন-

আপনি যদি ওজন কমাতে চান এবং সুস্থ থাকতে চান তাহলে নিশ্চয়ই জানবেন যে প্রতিদিন আট গ্লাস জল পান করা উচিত। সারাদিন যদি হাইড্রেট থাকেন আপনার  শরীরের অনেক রোগই কমে যায়। জল ছাড়া, আপনার শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। জল ছাড়াও আপনি উদ্ভিজ্জ রস, ফলের রস, লেমোনেড বা ডাবের জলও পান করতে পারেন শরীরকে হাইড্রেট ও সুস্থ রাখার জন্য। পর্যাপ্ত জল ছাড়া বিপাক ক্রিয়াও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

ব্যায়াম-

শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং বিপাক ক্রিয়াকে সচল রাখতে নিয়মিত যোগব্যায়াম, হাঁটা চলা করা খুব জরুরি। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও দারুণ প্রভাব ফেলে যোগব্যায়াম। করোনা মহামারির প্রকোপে কম বেশি সব মানুষেরই জীবনযাত্রার পরিবর্তন ঘটেছে। অনেকটা সময় গৃহবন্দি দশায় কেটেছে আমাদের। এই ক্ষেত্রে নিস্ক্রিয়তা, বিপাক ক্রিয়ার ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই যদি বিপাকক্রিয়াকে সচল রাখতে চান তাহলে নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন এবং সুস্থ থাকুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম-

আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রয়োজনের চেয়ে কম সময় ঘুম হলে, এটি আপনার মধ্যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং হতাশাসহ বেশ কয়েকটি অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান। এতেও দূর হয়ে যাবে আপনার অনেক রোগ।

Loading