নিজস্ব প্রতিনিধি- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৪৩ শতাংশ ভোটার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চান বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জনসমীক্ষা সংস্থা সিএনএক্স। আর ২৪ শতাংশ ভোটার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে চান।
মঙ্গলবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সিএনএক্সের ওই সমীক্ষার ভিত্তিতে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ৪৩ শতাংশ ভোটার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চান বলে জানিয়েছেন। আর ২৪ শতাংশ ভোটার জানান তারা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে চান। ৫ শতাংশ ভোটার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে এবং ৪ শতাংশ ভোটার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে চেয়েছেন। গত ১৫ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১১৭টি আসনের ৯ হাজার ৩৬০ জন ভোটারের মধ্যে সমীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৫৪ থেকে ১৬৪টি আসন পেতে পারে । বিজেপি পেতে পারে ১০২ থেকে ১১২ আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২২ থেকে ৩০টি আসন। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তৃণমূল পেতে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬ আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১১৩ থেকে ১২১টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২০ থেকে ২৮টি আসন।
১৫ ফেব্রুয়ারির পর ৮ মার্চের সমীক্ষা রিপোর্টে তৃণমূলের আসন বাড়া এবং বিজেপির আসন কমার ইঙ্গিত মিললেও ১৫ ফেব্রুয়ারির পর এই ৮ মার্চের সমীক্ষা রিপোর্টে বাম ও কংগ্রেস জোটের আসন বাড়ারও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি দেয়া হয়েছিল ২০ থেকে ২৮টি আসন পেতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট । আর গতকাল ৮ মার্চ দেওয়া হয়েছে ২২ থেকে ৩০টি আসন পেতে পারে তারা।
সমীক্ষা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এবার তৃণমূল ভোট পেতে পারে ৪২ শতাংশ, বিজেপি পেতে পারে ৩৪ শতাংশ আর বাম কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২০ শতাংশ।
তবে এই হিসেবে বাম-কংগ্রেস জোটে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর গড়া ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ দলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাম-কংগ্রেস জোটে আইএসএফ যুক্ত হওয়ায় এই জোটের আসন আরও বাড়তে পারে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ২১১ আসন, বাম-কংগ্রেস জোট ৭৭টি আসন আর বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৩টি আসন।
সমীক্ষায় আরো বলা হয়, ৪০ শতাংশ ভোটার রাজ্যের বিধায়কদের কাজ ‘খারাপ’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভালো বলেছেন ২২ শতাংশ ভোটার। ৪৩ শতাংশ ভোটার বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদির চেয়ে বেশি ভালো। আর ৪২ শতাংশ ভোটার বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে বেশি ভালো।
৩০ শতাংশ ভোটার বলেছেন, গত ১০ বছরে মমতার কাজে তারা খুব সন্তুষ্ট। ৩২ শতাংশ ভোটার বলেছেন তারা অসন্তুষ্ট। তৃণমূল বিজেপিকে বহিরাগত দল বলে যে প্রচার চালাচ্ছে, তাতে তাদের লাভ হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ৩৬ শতাংশ ভোটার হ্যাঁ বলেছেন। আর ৩৫ শতাংশ ভোটার না বলেছেন।