নিজস্ব প্রতিনিধি – ভারতে করোনাভাইরাসের সুনামিতে একদিনে প্রায় ৪ হাজার মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। একইসময়ে আক্রান্ত হয়েছেন, ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ জন। এ নিয়ে একটানা দশ দিন ধরে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি সংক্রমণ হল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশ, মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বুধবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৮০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরফলে দেশে এ পর্যন্ত ১.০৯ শতাংশ বা ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৮ মৃত্যু হল। সরকারি সূত্রে প্রকাশ, দেশে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৮২.০৩ শতাংশ অর্থাৎ ১ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৭৩১ জন। বর্তমানে ১৬.৮৭ শতাংশ বা ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ২২৯ জন সক্রিয় করোনা রোগী হাসপাতাল অথবা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। ভারতে এ পর্যন্ত ১৬ কোটি ৪ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৮ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৯। ভারতের মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯১ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। একইসময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮০ জন। রাজধানী দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫৩ জন। দিল্লিতে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরফলে রাজ্যটিতে মোট ১১ হাজার ৭৪৪ জনের মৃত্যু হল। রাজ্যে একদিনে ১৭ হাজার ৬৩৯টি নয়া সংক্রমণ হয়েছে। এদিকে, বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে লক্ষনৌ ও মীরাটে সম্প্রতি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে এক জনস্বার্থ মামলায় ইলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘হাসপাতালে কেবলমাত্র অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা যন্ত্রণা পেয়েছি। এ ধরনের ঘটনা অপরাধমূলক এবং তা কোনওভাবেই ‘গণহত্যা’র থেকে কম নয়। আর এই গণহত্যার দায় তাদের উপরে বর্তায় যাদের কাজ প্রত্যেক মুহূর্তে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা। যখন বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়েছে, হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের মতো ঘটনা ঘটছে, তখন এ ভাবে কী করে আমরা মানুষকে মরতে দিতে পারি?’
ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের সমন্বিত বেঞ্চের পক্ষ থেকে লক্ষনৌ ও মীরাটে হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।