বাস্তুশাস্ত্র মতে নিত্যপূজায় ঈশ্বর সাধনা

বাস্তু আচার্য্য দেবযানী

9051039387

ddebjani63@gmail.com

এই মহাবিশ্বে সকল কর্মের পশ্চাতে রয়েছেন পরম শক্তিমান ঈশ্বর। তিনি আপন যোগমায়ায় আবৃত হয়ে এই প্রকৃতির অন্তর্গত সকল জীবের অহংকারের ওপর ভিত্তি করে কর্ম করে থাকেন। সেই কর্মযোগে ঈশ্বরই সাধক, ঈশ্বরই সাধনা। পরম শক্তিমান ঈশ্বরের করুণায় সঙ্কট সুযোগে, ব্যর্থতা সার্থকতায় পরিণত হয়। আর ঈশ্বরের এই অপার করুণা বর্ষণে বর্ষিত  হওয়ার জন্য প্রয়োজন আমাদের নিজ বাসভবনে বাস্তুশাস্ত্র মতে একটি পবিত্র সুন্দর উপাসনালয়।

বাস্তুশাস্ত্রমতে ঠাকুরঘর ঃ- গৃহে সর্বদা সুখশান্তি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বাড়ির ঠাকুর ঘরটির অবস্থান গৃহের উত্তর-পূর্ব দিকে (ঈশান কোণ) হওয়া বাঞ্ছনীয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এটি বৃহস্পতির স্থান এবং বৈজ্ঞানিক মতে এই দিক্‌ ধণাত্মক শক্তির প্রাচুর্যে  ভরা। ঠাকুর ঘরে যেখানে মূর্তি  রাখা হবে, তার ওপর যেন কোন তাক বা সেল্ফ না থাকে। মূর্তি  বা বিগ্রহের আকার বেশি বড় না হওয়াই শ্রেয়। বিগ্রহকে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে পূজার সময় সম্পূর্ণ বিগ্রহ দৃশ্যমান হয়। পূজার সময় যিনি পূজা করছেন তার মুখ যেন পূর্বদিকে থাকে। পূজার ঘরটি যথেষ্ট আলো বাতাস যুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। পূজা ঘরের প্রদীপ বা আলো দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জ্বালাতে হবে। বাস্তুমতে পূজাগৃহে দুটি শিবলিঙ্গ, তিনটি দূর্গাদেবীর মূর্তি  ও দুটি শঙ্খ রাখা অনুচিত। বাড়ির সুখশান্তি বজায় রাখতে ঠাকুর ঘরে একটি তামার পাত্রে জল রাখা খুবই উপযোগী।

ঈশ্বরের পূজার জন্য বা তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য আমাদের শুদ্ধ অন্তঃকরণে ভক্তি ও ভালোবাসাই যথেষ্ট। বাইরের অলঙ্করণের প্রয়োজন হয় না। ঈশ্বর এক তাঁর নানা রূপ ও নাম। যে কোনো নামেই তাঁকে ডাকা যায়, একে জপ বলে। আর তাঁর রূপেকে গভীরভাবে চিন্তন ও মনন করাকেই বলে ধ্যান।

(১) গণেশ (২) শিব (৩) দূর্গা (৪) বিষ্ণু (৫) সূর্য – এই পঞ্চ দেবতার পূজা করলেই আমরা বিশেষ সৌভাগ্যের অধিকারী হতে পারি। বাস্তুশাস্ত্র মতে এই পঞ্চ দেবতার পূজা করলেই তেত্রিশ কোটি দেবতার পূজা করা হয়।

শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন –

‘‘ ঈশ্বর শুধু আমার, এটা মনে প্রাণে মানা মাত্রই ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্ক জুড়ে যায়।’’

মা লক্ষ্মীর কৃপায় ধন লাভের টোটকা

যেকোনো শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার বা লক্ষ্মী পূজার দিন বা দেওয়ালীর দিন করা যাবে। পূজার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে মুখে জল না দিয়ে একটি জল সমেত নারকেল নিয়ে যে কোনো জলাশয়ে গিয়ে, নারকেলটিকে একটি পরিষ্কার কাপড়ে জড়িয়ে জলাশয়ের ভিতর রাখতে হবে আর বলে আসতে হবে সন্ধ্যাবেলায় আসব আর তোমার সাথে মা লক্ষ্মীকে নিয়ে যাব। এরপর সন্ধ্যাবেলায় গিয়ে নারকেলটি এনে মা লক্ষ্মীর আসনে বসিয়ে সিঁদুর দিয়ে মূর্তি স্বরূপ পূজা করতে হবে। পূজার পর নারকেলটিকে একটি লাল কাপড়ে জড়িয়ে যেখানে টাকা পয়সা থাকে সেখানে রেখে দিতে হবে। এতে মা লক্ষ্মীর কৃপায় সংসারে কোনোদিন টাকা পয়সার অভাব হবে না।

Loading