নিজস্ব প্রতিনিধি – করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। এরই প্রভাব পড়ে কৃষক আন্দোলনে। কয়েক মাস স্তিমিত থাকার পর ফের চাঙ্গা হচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন। ভারতজুড়ে ধরনা (ঘেরাও) কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কৃষকরা। আগামী ২৬ জুন সব গভর্নর ভবনে এ ধরনা পালন করবেন তারা। এক সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিজেপি সরকার ভারতের কৃষি খাত সংস্কারে তিনটি কৃষি আইন করে। সংসদে আইনগুলো পাস করার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, নতুন আইনের মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার থেকে কৃষকরা মুক্তি পাবেন। তবে কৃষকদের দাবি, আইনগুলো তাদের মুক্তির জন্য নয়। এর ফলে তারা আরও বেশি করপোরেট দাসে পরিণত হবেন। কৃষি ধ্বংস করে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভবান করাই আইনের উদ্দেশ্য। এরপর বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন কৃষকরা। বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এ আন্দোলনে রাজধানী দিল্লিতে অচলাবস্থা নেমে আসে। হাজার হাজার কৃষক তাদের ট্রাক্টর, লাঙলসহ বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম এনে উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা প্রদেশে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নেন। সরকার দফায় দফায় আলোচনা করেও কৃষকদের থামাতে পারেনি। সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করে। তবে আন্দোলন চলার মধ্যেই করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা দিলে আন্দোলনে ভাটা পড়ে। আর সেটিই এখন চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন আয়োজকরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমর্থন পেতে গত বুধবার নবান্নে তার সঙ্গে দেখা করেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত। এরপরই গত শুক্রবার কৃষকদের ৪০টি সংগঠনের জোট ‘সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা’ ২৬ জুন দেশজুড়ে গভর্নর ভবনে নতুন ধরনা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।

Loading