নিজস্ব প্রতিনিধি – আমাদের জীবনে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা সেই সব চেয়ে ভালোমতো জানে যে দিনের শেষে সব কাজ সামলে শরীরটাকে বিশ্রাম দিতে চাইলেও পারছে না।  কোনো না কোনো সমস্যা এসে পড়ে যার জন্যে তাকে জাগতে হয় মাঝরাত অবধি। বেঁচে থাকার জন্য প্রথম যে জিনিসগুলো আমাদের প্রয়োজন তার অন্যতম হচ্ছে ঘুম। তবে এবার আবার গবেষকরা বলছেন যে শুধুই সুস্থ থাকা নয়, করোনা থেকে মুক্ত থাকতেও ঘুমের জুড়ি মেলা ভার। ঘুমের মাধ্যমে মহামারীতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও নাকি অনেকটা কমে যায়। জার্মানি, ইটালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট ও যুক্তরাজ্যের মোট ২ হাজার ৮৮৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আটজন বিজ্ঞানী এই সমীক্ষা চালিয়েছেন। দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত বাইরে যান ও বেশি পরিশ্রম করেন কিন্তু ভালো মতো অর্থাৎ নির্বিঘ্নে ঘুম হয় না কোনো কারণে বা মানসিক চাপে, তাদের করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নাকি অনেক বেশি রয়েছে। গবেষণা আর এটাও বলেছে যে রাতে কোনো ব্যক্তির ঘুমানোর সময়ের উপরে করোনার প্রভাব নির্ভর করছে। একজন ব্যক্তি যতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন রাতে সেই হিসেবে নাকি তার প্রতি একঘণ্টা অন্তর করোনা হওয়ার আশঙ্কা ১২ শতাংশ করে কমতে থাকে।

যাদেরকে নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয় তাদের মধ্যে ৫৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যারা বেশি ঘুমিয়েছেন তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কম পাওয়া গিয়েছে। প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টার গড় ঘুম ছাড়িয়ে যদি এক ঘণ্টা করে বাড়তি ঘুমানো যায় অর্থাৎ মোট ৮ ঘন্টা নির্বিঘ্নে ঘুম হলে তাহলেই করোনার আশঙ্কা নাকি অনেকখানি কমে যায় বলেও উল্লেখ করা হয় ওই বিশেষ গবেষণায়। তারা দেখেছেন যে কোনো কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

তাই যতই ব্যস্ত থাকুন আপনি, প্রতিদিন দিনের শেষে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা আপনাকে করতেই হবে। কারণ আপনার নিজের সুরক্ষা আপনারই হাতে রয়েছে। আর ঘুমের মতো এতো সহজ সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকতে ভয় কীসের?

Loading