নিজস্ব প্রতিনিধি – বেশি সুফল পেতে চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদা-জল পান করুন। আদা এবং জলের গুণ একত্রিত হয়ে তা আপনাকে বহু রোগ থেকে দূরে রাখবে। অর্থাৎ আপনি যদি নিয়মিত আদা-জল খেতে পারেন তবে শরীরের অনেক সমস্যাই দূর হবে। এটি আদিকাল থেকেই প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। যা অনেক উপকারীও। আদা-জল তৈরি পদ্ধতি আদা-জল তৈরি করার জন্য ৩ কাপ জল গরম করে ১ টেবিল চামচ আদা কুচি দিন। জল ফুটে উঠলে ওভেনে ওভেনে জ্বাল কমিয়ে দিন, এভাবে রাখুন ১৫ মিনিট। ওভেন থেকে মানিয়ে ঠাণ্ডা করুন জল-আদার মিশ্রণ। অর্ধেকটা লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন আদা-জল। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সুস্থতার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদা-জল পান করা জরুরি কেন-

>> আদা পেশির টান কমাতে দারুণ সহায়তা করে।

>> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় স্বাস্থ্যকর এই পানীয়।

>> জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে নিয়মিত পান করুন আদা-জল।

>> ঠাণ্ডা লাগা অথবা খুসখুসে কাশি দূর করতে পারে আদা-জল।

>> শরীরের বিভিন্ন দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এই পানীয়।

>> কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে আদা-জল।

>> অতিরিক্ত মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন আদা-জল।

>> হজমের গণ্ডগোল থাকলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদা-জল পান করুন। দূর হবে সমস্যা।

>> আদা-জলেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন কোষের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।

>> যারা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি পানীয় হতে পারে আদা-জল। প্রতিদিন একগ্লাস জলেতে দুই চামচ শুকনো আদার গুঁড়া গুলে খেতে হবে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

>> উপকারী ভেষজ আদায় আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এর ফলে পিরিয়ডের সময় যখন জরায়ু ফুলে যায়, তখন আদা-জল সেই ফোলা ভাব কাটাতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ পেটের ক্র্যাম্প কিংবা ব্যথাও অনেকটা কমে যায়।

>> অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গা গোলানোর সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থাকে। কারও আবার গাড়িতে চড়লেই গা গোলাতে থাকে। বমি হতে পারে বা বমি বমি ভাব। এসব দূর করার জন্য আদা-জল যথেষ্ট। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একগ্লাস আদা মিশ্রিত জল খেয়ে নিন। এতে গা গোলানো এবং বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পাবেন।

Loading