উষ্ণ আবহাওয়ার দেশে অতিরিক্ত ঘামে কাপড় ভিজে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই  আছে। শারীরিক কোনও দুর্বলতার জন্য অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। দৈনন্দিন কার্যক্রম যদি প্রচন্ড ঘামের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এছাড়াও আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- ব্রোকোলি, পেঁয়াজ বা শারীরিক দুর্বলতা থেকেও ঘাম বেশি হয়। অতিরিক্ত গরম বা রোদে বেশি ক্ষণ থাকার ফলে ঘেমে গেলে মাথা ঘোরে, শরীর দুর্বল লাগে, ঝিমঝিম করে। এর ফলে শরীরের জল ও লবণ বেরিয়ে যায়। তাই বেশি ঘামলে জল বা স্যালাইন অথবা ডাবের জল পান করুন। ডায়াবেটিস রোগীরা হঠাৎ বিন্দু বিন্দু শীতল ঘামলে বুঝতে হবে রক্তে শর্করা কমে গেছে। এমন হলে দ্রুত চিনির শরবত খেতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসের রোগীদের স্নায়ুজনিত সমস্যা হলে খাবার সময় বা পরে মাথা, কপাল, ঘাড় বেশি ঘামতে পারে। উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। কোনো দুশ্চিন্তায় বেশি ঘামা, হাত-পায়ের তালু ঘামা উদ্বেগের লক্ষণ। সঙ্গে বুক ধড়ফড় করতে পারে।

থাইরয়েড সমস্যায় একই ধরনের উপসর্গ হতে পারে। তাই থাইরয়েড সমস্যা থাকলে  থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করতে পারেন। দৈনিক শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার জল বা পানীয় জাতীয় খাবার পান করতে হবে।

ক্যানসার রোগীদেরও ক্ষেত্রেও ঘাম হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ঘামের সমস্যা হতে পারে হৃদ্‌রোগের ক্ষেত্রেও। তাই ঘাম বেশি হলে শুরুতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

Loading