নিজস্ব প্রতিনিধি – করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ভারতে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে গণটিকাকরণ প্রক্রিয়া। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার।
কিন্তু পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ভারতের অনেক রাজ্যে ইতোমধ্যে টিকাদান প্রক্রিয়া ঝিমিয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক বিবৃতি দিয়ে সিরাম ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, আগামী তিন মাসেও ভারতে সবার টিকাকরণ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউট জানায়, ‘মানুষ এটা বুঝতে চাচ্ছে না যে, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুটি দেশের মধ্যে একটি। এতো বিশাল সংখ্যক মানুষকে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেকগুলো ধাপ থাকে। গোটা বিশ্বে সবাইকে টিকা দিতে অন্তত দুই থেকে তিন বছর লাগবে।’ সিরাম আরও জানায়, ‘ভারতের স্বার্থে আঘাত দিয়ে কখনই টিকা রফতানি করা হয়নি। দেশে টিকাদান প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে এই মহামারি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’ টিকা উৎপাদন ও সরবরাহে সিরাম বিশ্বে তৃতীয়। কোভ্যাক্স প্রকল্পের অংশ হওয়ায় কারণে বিশ্বে কিছু টিকা অন্য দেশগুলোর কাছে রফতানি করতে হয় বলে সিরামের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। ভারতে করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সরকার বিদেশে টিকা রফতানি করছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলোর। এই বিবৃতি দিয়ে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিল সিরাম। উল্লেখ্য, ভারতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাদান শুরু হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত টিকার অভাবে কার্যত ঝিমিয়ে পড়েছে গোটা প্রক্রিয়া। ফলে অভিযোগ ওঠে সিরাম ও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।