শান্তি রায়চৌধুরী : শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’- না, অধিনায়ক বিরাট কোহলি এই প্রবাদের যথাযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি), ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দল- দুজায়গাতেই অধিনায়ক কোহলির শেষটা হয়েছে ভীষণ মলিন।

২০২১ আইপিএল অনুষ্ঠিত হয়েছিল দু’ভাগে। করোনার কারণে ভারতে স্থগিত হওয়া আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হয়েছিল ১৯ সেপ্টেম্বর। আরব আমিরাত পর্ব শুরুর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর কোহলি জানিয়েছিলেন, ‘২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাই অধিনায়ক হিসেবে তার শেষ বিশ্বকাপ। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ভারতীয় রান-মেশিন’ চলতি আইপিএল শেষে আরসিবির অধিনায়কত্বও ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন।

কোহলির নেতৃত্বাধীন আরসিবি এবার ১৪ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে জিতে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে ওঠে। এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর)। কেকেআরের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই করেও আইপিএল থেকে ছিটকে যেতে হয় কোহলির আরসিবিকে। ২০১৩ থেকে ২০২১ – এই ৮ বছর অধিনায়কত্ব করে আরসিবিকে শিরোপা না জেতানোর আক্ষেপে পুড়তে হয় কোহলিকে।

আরসিবিতে বেদনাবিধুর শেষের পর ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে অধিনায়কত্বের শেষটা রাঙাতে চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু ‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়’ – ভারতীয় অধিনায়ক এটার প্রমাণ পেলেন হাতেনাতে।

পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরে ভারতের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছিল। পরে আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে গুড়িয়ে সেমিফাইনালের আশা ভালোমতোই জাগিয়েছিলেন কোহলিরা। কিন্তু ৭ নভেম্বর আবুধাবিতে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভারতের স্বপ্নে সুন্দরমত পানি ঢেলে দেয় নিউজিল্যান্ড। ৮ নভেম্বর দুবাইয়ে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগেই কোহলিদের বাক্সপেটরা গুছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কিউইরা।

২০১৭ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের হয়ে তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করেন কোহলি। তার অধীনে ভারত আইসিসি ইভেন্ট খেলেছে চারটি। যেখানে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল- দু’বার ভারত হয়েছে রানার্সআপ। আর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল আর ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে ‘টাটা বাই বাই’ বলতে হয় ভারতকে।

Loading