নিজস্ব প্রতিনিধি – পঞ্চম দফা ভোটের আগে সোমবার ফের রাজ্যে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। বর্ধমানে দলীয় সভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন, চার দফা ভোটের শেষেই তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। অর্ধেক ভোটেই বিজেপির আসন সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। দিদির তিক্ততা ও হতাশা এই জন্যই বাড়ছে। ২ মে যতই এগিয়ে আসছে, দিদি ততই প্রলাপ বকছেন। শুধু বর্ধমান নয়, মোদি এদিন বারাসত ও কল্যাণীতেও দলের প্রচারে একইভাবে তাঁর আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন। এ রাজ্যে বারবার প্রচারে এসে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়াবার চেষ্টা চালাচ্ছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে দিদি, ও দিদি ডাকে সভায় কর্মী, সমর্থদের মধ্যে য়থেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন। সোমবার বারাসতের সভায় দাঁড়িয়ে বলেন, আপনাদের আমার প্রতি এই ভালোবাসাই দিদিকে যন্ত্রণা দিচ্ছে। রাগে যন্ত্রণায় তিনি ভুল বকছেন। যা নয় তাই বলছেন আমাদের উদ্দেশে। এদিন তিনটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের মূলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীই। কোচবিহারের শীতলকুচির কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনাও এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে। এই ঘটনার জন্য ফের প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর উসকানির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে দলের সমর্থকদের উসকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিদির নীতিই কোচবিহারের শীতলকুচিতে মায়ের কোল খালি করেছে।

দিদির এই প্ররোচনাতেই তৃণমূলের গুন্ডাদের হাতে নিমতায় বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ মোদির। তিনি বলেন, আসলে বিনাশকালে দিদির বুদ্ধিনাশ হয়েছে। হিংসায় ইন্ধন দিয়ে যেকোনও মূল্যে দিদি ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন। দলের কর্মী ও সমর্থকদের সেভাবেই চালনা করছেন। ঠিক যেমন রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দিদির দল হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছিল।

Loading