নিজস্ব প্রতিনিধি – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজভবনকে বিজেপির দলীয় ভবনে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার রাজ্যপালের দিল্লী সফরকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপাল যখন দিল্লি যাচ্ছেন, তখন রাজ্যপালের বলা উচিত, কেন কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যকে বঞ্চিত করে গেলো যত রকম পাওনা ‘জিএসটি’ ইত্যাদি বিষয়ে। সবথেকে বড় কথা কেন সঠিক সময়ে অক্সিজেন পাওয়া গেল না, ভ্যাকসিন পাওয়া গেল না সেই কথাগুলোও বলা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড নীতির সম্পূর্ণ ব্যর্থতা, উনি সেগুলো নিয়ে কথা বলুন। শুধুমাত্র একেবারে ‘বিজেপি’র এজেন্টের কাজ’ করছেন তিনি।’ উনি বিজেপির দলীয় ভবন তৈরি করেছেন রাজভবনকে’ বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের হয়ে সাফাই দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যখন থেকে রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পেয়ে এখানে এসেছেন তিনি ওঁদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা শুরু করেছেন। তখন থেকে তাঁকে আক্রমণ করা শুরু হয়েছে। তাঁর গাড়ি আটকানো হয়েছে, মারপিট করার মতো পরিস্থিতি হয়েছে। যতরকম অসম্মানজনক শব্দ প্রয়োগ, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাঁর সাধারণ কর্মীরা করেছেন। তাতে কী হয়েছে? এই প্রথমবার গভর্নর (রাজ্যপাল) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তাঁর মর্যাদার মধ্যে থেকেছেন। যারা স্বৈরতান্ত্রিক বা অনৈতিক কাজ করে তারা এটা সহ্য করতে পারছে না। বাংলার মানুষ সব দেখছে’ বলেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমপি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি রাজধানী দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন, বিজেপি নেতা ও রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত (রোববার) রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এবং দলত্যাগ বিরোধী আইন লঙ্ঘন করে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানায় গেরুয়া শিবির। এরপরেই আজ সন্ধ্যায় রাজ্যপালের প্রস্তাবিত দিল্লী সফরকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা ইত্যাদি ইস্যুতে দিল্লীতে সোচ্চার হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Loading