নিজস্ব প্রতিনিধি – দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপলব্ধি, ‘‘তিনি থাকায় লাভ তো বিশেষ কিছু হয়নি। ক্ষতি আর কী হবে?’’ অথচ এই মুকুলকে নিয়েই বিজেপির একাংশের গর্বের সীমা ছিল না। ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় দফতরে নিয়ে গিয়ে মুকুলকে যোগদান করান বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে এটা একটা বিরাট পদক্ষেপ বলেও প্রচার করেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়—সকলেই নানা সময়ে নানা সভায় মুকুলের প্রশংসা করেছেন। এমনকি, শুক্রবার মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও জনান্তিকে রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার স্বীকারোক্তি, ‘‘পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটে মুকুলদা’র অবদান অস্বীকার করা যাবে না। এখন মুকুলদা তৃণমূলে চলে যাওয়ায় বিজেপির কাছে উনি হয়েছেন আঙুরফল টক!’’
বস্তুত, মুকুল বিজেপি ছাড়ার পরে গেরুয়া শিবির কার্যত দিশেহারা। তিনি যে এ দিনই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন, তার ইঙ্গিতটুকুও বিজেপির কাছে আগাম ছিল না। বিজেপিতে মুকুল যে সর্বভারতীয় নেতার সব চেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সেই কৈলাস-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ দিন কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে সূত্রের খবর, মুকুল এ দিন বাড়ি থেকে তৃণমূল ভবন যাওয়ার সময় তাঁর কাছে দিল্লি থেকে অনেক ফোন আসে। কিন্তু তিনি কোনও ফোন ধরেননি।