নিজস্ব প্রতিনিধি – আগেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী, এবার পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তা তৃণমূলের পক্ষে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে যোগদানের পরে আজ বলেন, ‘বাংলার মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা উন্নয়ন চায়, দুর্নীতি ও সহিংসতা নয়। পরিবর্তনের জন্য মুখিয়ে আছেন বাংলার মানুষ। রাজনীতি কোনও খেলা নয়। উনি (তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) খেলার চক্করে আদর্শ ভুলে গেছেন।’ অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আজ পাল্টা জবাবে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার ধারণা দীনেশ দা’র অভিধানে লজ্জা, ঘেন্না এবং কৃতজ্ঞতা বলে কোনও শব্দ নেই! যাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও রাজ্যসভায়, কখনও লোকসভায় সংসদ সদস্য করে পাঠিয়েছেন। ২০১৯ সালের অর্জুন সিংহের অনুরোধ না রেখে দীনেশ ত্রিবেদীকে ব্যারাকপুর থেকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা। দীনেশ ত্রিবেদী হেরে যাওয়ার পরেও তাঁকে রাজ্যসভায় এমপি করে পাঠিয়েছিলেন (তৃণমূল সভানেত্রী) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দল, সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলতে তার বিন্দুমাত্র বিবেকে লাগছে না, লজ্জা করছে না! এটা দেখে বিস্মিত হয়ে যাচ্ছি! যাদের আবেগ, যাদের রক্ত, যাদের লড়াইয়ের উপর দাঁড়িয়ে এসব মানুষজন নেতা-মন্ত্রী হলেন তারাই প্রথম ছুরিটা মারছে দলকে। কর্মীরা অটুট আছে।’ ‘দীনেশ ত্রিবেদী শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন। এই দল তাঁকে রেলমন্ত্রী পর্যন্ত করেছিল। দীনেশ ত্রিবেদী কোনও মহামানব নন। তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জায়গা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের রেলমন্ত্রী পর্যন্ত করে পাঠিয়েছেন। বার বার তাঁকে সংসদে পাঠানো হয়েছে। আজকে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে দলকে নানারকম নীতি আদর্শের কথা শেখাচ্ছেন এটা কোনও কাজের কথা নয়’ বলেও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেন।
164 total views, 2 views today