নিরঞ্জন দোলই – মানুষের সেবা করাই পরম ধর্ম মনে করে অসহায়, দুঃস্থ ব্যক্তিদের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হল উলুবেড়িয়া থানার ধুলাসিমলা অঞ্চলের বাঁইখালিতে। করোনা ভাইরাসের কোপে সারা বিশ্বে লকডাউন চলছে। বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষের ভয়ের আতঙ্ক দোরগোড়ায়। মানুষের কাজকর্ম তলানিতে ঠেকেছে। নারী-শিশু-বয়স্কদের মুখের হাসি ম্লান হয়ে গেছে। গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো আজ অচলাবস্থায়। এই রকমই এক সন্ধিক্ষণে এলাকাভিত্তিক মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছেন কলকাতার ‘আল খান ফাউন্ডেশন’। ওই ফাউন্ডেশনের ধূলাসিমলা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমাজসেবী সেখ নূর আলম। তিনি সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে পুনরায় রেশনিং-এর ব্যবস্থা করলেন। আল খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাজি মহসিন খান – এর বিশেষ উদ্যোগে ওই দিনের রেশনিং-এর ব্যবস্থা করা হল।

জানা যায় ‘আল খান ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান হাজি মহসিন খান একজন বিশেষ ধর্মপরায়ণ ব্যক্তিত্ব ও উদার মনের মানুষ। তাঁর দান চিরস্মরণীয় হয়ে আছে দেশ তথা বাংলার ঘরে ঘরে। তাঁর কাছে দুঃস্থ, অসহায় মানুষের আর্তনাদ কর্ণগোচর হলেই তড়িঘড়ি তাকে সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয় দেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ‘আল খান ফাউন্ডেশন’-এর শাখা। ওই শাখার মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের কর্মবীরদের বিভিন্ন ধরণের সামাজিক কার্যকলাপ চলছে।

‘আল খান ফাউন্ডেশন’-এর ধুলাসিমলা অঞ্চলের কান্ডারী সেখ নূর আলম বলেন, বিগত ২০ বছর ধরে ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে সামাজিক কাজ করে চলেছি। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াই ও সহযোগিতা করি। এ বছরও এলাকায় লকডাউনে বেশ কয়েকবার রেশনিং ব্যবস্থা, ইফতার এমনকি বিভিন্ ধরণের পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষ  ‘আল খান ফাউন্ডেশন’-এর দীর্ঘায়ু কামণা করেন এবং আরও এগিয়ে চলার কথা বলেন।

ওই দিন দাসপাড়ার পারুল রুইদাস, রনমহলের জহুরা বিবি, মালপাড়ার রুমা বাগ, বাঁইখালির সুনিল বাগ, দাদপুরের নিমাই মন্ডল জানালেন ‘আল খান ফাউন্ডেশন’ যেভাবে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সত্যিই চোখে পড়ার মতো।

আল খান ফাউন্ডেশনের উলুবেড়িয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবী সাবির আহমেদ সংস্থার জন্য মনোযোগ সহকারে কাজ করে চলেছেন। যারপরনাই খুশি এলাকার বুদ্ধিজীবি মহল থেকে শুরু করে জনসাধারণ।

ওই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সেখ মাকসাদুল, সেখ রফিক, সেখ মোবাইদুল, অসিত কর্মকার, সেখ মাসানুর, অরুণ দাস, সেখ সাবির, সেখ মাসুদ প্রমুখ। বাঁইখালির ১৩০০ (এক হাজার তিনশত) ব্যক্তি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এই খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ করেন।

Loading