জুলফিকার Ali, তমলুক – আজ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা কমিশন এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবের নিকট উন্নত মানের ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ সহ বিদ্যালয়ে ‘কম্পোজিট গ্র্যান্ট’ দেওয়ার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গত পরশু রাজ্য শিক্ষা কমিশন বাংলা শিক্ষা পোর্টালে  প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণীর জন্য ১ম ও ২য় পর্বের ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ প্রকাশ করেছে। সেগুলো জুন মাসের মিড-ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় অভিভাবকদের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হবে।

বর্তমানে শিক্ষাবর্ষের ৬ষ্ঠ মাস চলছে। দীর্ঘ ৫মাস পর প্রকাশিত হলেও ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ মডেল নয়, অত্যন্ত নিম্নমানের। গতবছরের মতোই বিষয় পিছু মাত্র ৫/৬টি প্রশ্ন দিয়ে কোনরকমে দায় সারা হয়েছে । প্রশ্নের কোনো মান (নম্বর) নেই, মূল্যায়ন করবার কোন ব্যবস্থা নেই। দুটি পর্বের প্রশ্নাবলী একত্রে দেওয়ায় ছাত্রদের উপর চাপও বাড়ছে ।  বর্তমান সরকার ১ম বার ক্ষমতায় এসে প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণী চালু করেছিল। কিন্তু তাদের জন্য কিছুই নেই। তাছাড়া বর্তমান শিক্ষাবর্ষে কোনো ক্লাস হয়নি। তাহলে কেবলমাত্র প্রশ্ন পত্র পৌঁছে দিয়ে কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের শেখানো যাবে তা নিয়ে শিক্ষক সমাজ অতিশয় উদ্বিগ্ন।

এরসঙ্গে ‘কম্পোজিট গ্র্যান্ট’ থেকে এর ছাপার খরচ করবার কথা বলা হচ্ছে। কিন্ত তা বর্তমান অর্থবর্ষে তো নয়ই সর্বশেষ ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে দেওয়া হয়েছিল। কোনো কোনো জেলায় ২০২০ -২১এর টাকা দেওয়া হলেও বর্তমান অর্থবছরে কোথাও দেওয়া হয় নি। ফলে শিক্ষকগণ সমস্যায় পড়েছেন।

এক প্রেস বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা   দ্বিতীয় পর্ব পর্যন্ত সিলেবাসের সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে উন্নতমানের ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ প্রকাশ এবং ‘কম্পোজিট গ্র্যান্ট’ প্রদানের দাবি করেন। সেই সঙ্গে তিনি শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে শিক্ষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার দাবি জানান।

Loading