নিজস্ব প্রতিনিধি – দ্বিতীয় দফার ভোটে নন্দীগ্রামে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সংযুক্ত মোর্চার নেতৃত্ব। অনেক ক্ষেত্রেই কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে বলে তাদের অভিযোগ। আগে থেকে তথ্য দেওয়ার পরেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ বাম, কংগ্রেস উভয় দলের। আগাম অভিযোগ করেও কমিশন যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি নন্দীগ্রাম তার প্রমাণ, অভিযোগ সিপিএম নেতা রবীন দেবের। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পরিবেশ কলুষিত হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। একইভাবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নন্দীগ্রামের নির্বাচনে সন্ত্রাস প্রসংগে কমিশনের উপর দায় চাপিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী শুক্রবার সংযুক্ত মোর্চার নেতারা দুপুরে নির্বাচন কমিশনে গেলেন অভিযোগ জানাতে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন ১৪৪ ধারা জারি করার পরেও কীভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসদকদল বারবার নিয়ম ভাঙলো? কমিশন কোনও ব্যবস্থা কেন নিলো না? এসব কার স্বার্থে করা হলো? এসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মোর্চার সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কোনও কোনও জায়গায় ৬০০/৭০০ মানুষ জড়ো হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায়। এটা যদি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় তবে তাই হয়েছে।” নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সিপিএম নেতৃত্বকে নির্বাচনের দিন দফায় দফায় রিপোর্ট দেন । এছাড়াও যে চারটি জেলায় ভোট ছিল সেখানকার জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে তথ্য নেয় আলিমুদ্দিনের নেতৃত্ব। ভোটের গতিপ্রকৃতি অনুকূল নয় বুঝেই কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বামেরা।
একের পর এক শরিক নেতাদের ফোন করে কমিশনে আসতে বলা হয়। সিপিএম নেতা রবীন দেব জানান, সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে দু’পক্ষ হিংসার আশ্রয় নিয়ে ভোট লুঠের খেলায় মেতেছিল। আগেই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও দিনের শেষে বোঝা যাচ্ছে অশান্তি ঠেকাতে কমিশনের ভূমিকা আন্তরিক ছিল না। বহু জায়গাতে মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তথ্যপ্রমাণ দিয়ে অভিযোগ জানান হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কমিশনের তরফে। কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি।
নন্দীগ্রামে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন সন্ত্রাস ও খুনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনেকেই দায়ী করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। তিনি জানান,”পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী পরিবেশ যে বিষাক্ত হতে পারে, সে কথা আগেই আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু কমিশন সতর্ক হয়নি।” কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “ভোটে তৃণমূল যে হেরে যাচ্ছে, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। আর তাই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বুধবার রাতে সোনিয়া গান্ধীর দ্বারস্থ হন। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি ব্যর্থ। তাই সোনিয়াজির দয়া চাইছেন। এই যদি দিদির অবস্থা হয়, তো মানুষ কোন দুঃখে তৃণমূলকে ভোট দেবেন?”