রসুন খাওয়া এমনিতেই খুব উপকারী। কিন্তু রসুনের জলও যে নানা রোগের উপশম করতে পারে তা অনেকেই জানেন না। বিশেষত শীতকালে রসুনের জল খুবই উপকারী। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস রসুনের জল পান করলে ৬-৭টি রোগ দূর হতে পারে অনায়াসে। শীতের সময় সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন প্রায় সকলেই। তা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে এই জল পান করলে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ভি কে পান্ডে জানালেন, রসুনের জল নানা ভাবে শরীরের উপকার করে। সারারাত কয়েক কোয়া রসুন জলতে ভিজিয়ে রেখে জল পান করতে হবে। তাঁর মতে একেবারে সকালে খালি পেটে রসুনের জল পান করা উচিত। এতে সর্দি, কাশি, বদহজম দূর হতে পারে। শুধু তাই নয়, মুখের বলিরেখার মতো সমস্যাও চলে যায়।
ডা. ভি কে পান্ডের মতে, রসুনের জলতে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন এ, বি এবং ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলির বিকাশে সহায়তা করে।
এছাড়াও, এটি বিশেষ করে শীতকালীন আবহাওয়ায় শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। ফলে যাঁরা সর্দি-কাশিতে ভোগেন তাঁদের জন্য উপকারী। ফুসফুসে প্রচুর কফ জমে থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করতে কাজ করে।
তিনি আরও বলেন, যাঁরা হাঁটুতে ব্যথা বা হাড়ের কোনও ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরাও উপকার পেতে পারেন রসুনের সাহায্যে। এই কন্দে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই বাতের মতো জটিল রোগের চিকিৎসায়ও রসুনের জল সহায়ক হতে পারে।
রসুনের জল পান করার পর অবশিষ্ট রসুন ফেলে দেওয়ার দরকার নেই। এটিকে অনায়াসে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন একটি বা দুটি কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলেও শরীরের জন্য তা উপকারী হতে পারে। রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
মনে রাখতে হবে, রসুনের মাত্র দুই-তিন কোয়া জলে মেশাতে হবে, তার বেশি নয়। ডা. ভি কে পান্ডে বলেছেন যে সবাই এটি পান করতে পারেন। কিডনি বা ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলেও পান করা যায়। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এমনকী শিশুরাও পান করতে পারবে।
__________________________________________________________
__________________________________________________________
_______