ভুত যখন বন্ধু

কবি  সমীরণ সরকার

ব্যারাকপুর, ৮৯৮১২৯১৬০৪

 

অনেক সত্য কাহিনী অজানা থাকে আমাদের কাছে কোনভাবে অজানা ঘটনা জানা যায় এমন এক রোমহস্য কাহিনী বর্ণনা তুলে ধরছি

আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাম ভূপাল সরকার দুজনেই আমরা ব্যারাকপুর কলকাতা লক্ষ একশ বাইশ চব্বিশ পরগনা নর্থ বসবাস করি

ভূপাল কলকাতা কর্পোরেশনে কর্মরত ছিল আমার বাড়ি থেকে মিনিটের দূরত্বে থাকতো ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত অবসর নেওয়ার পরে বন্ধু ঠিক করল বাড়ি করে চলে যাবে জমি কিনে রেখেছিল চাকুরী থাকাকালীন জায়গাটার নাম কাঠালিয়া ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে হাঁটা পথে ঘন্টাখানেকের সেই সময় গ্রাম্য পরিবেশ ছিল অনেক দূরে দূরে কয়েকটা বাড়ি ছিল গোপালের এক তলা ছাদ হয়ে গেল তখন থেকে শুরু হলো এক এক রকম ঘটনা আমাকে যখন কাটা মারা কথাগুলো তুলে ধরল লোমগুলো সব খাড়া হয়ে যেত বুকের স্পন্দন বেড়ে যেত আমি বিভোর হয়ে শুনতাম ওর মুখের দিকে তাকিয়ে চা দিয়ে গেল চা সিগারেট টেনে একটু দম নিয়ে আবার শুরু করে রোজ বিকেলে দেখতে যেত বৈদ্যুতিক আলো ছিল না চারিদিক টা ঘন অন্ধকারে ভরে থাকতো ঝিঁঝি পোকার ডাক মাঝে মাঝে জোনাকির আলো  চলে যেত এক সন্ধ্যেবেলায় ছাদে উঠছিল অর্ধেকটা ওঠার পরে অদৃশ্য কোন শক্তি একটা পা টেনে রাখছিল বুঝতে পারছি কেউ পেছনে আছে

বাঁ দিক দিয়ে একটা ছায়া মূর্তি উঠে গেল পা হালকা হয়ে গেলভয় লেগেছিল কিন্তু সাহস ছিল ধনু রাশির লোক ভয় কম ছাদে উঠে একটা সিগারেট ধরালো একটু ঘুরে মনের ভেতর চিন্তা নিয়ে নেমে আসার সময় একটা শীতল বাতাস চলে যায় মাথার উপর দিয়েশরীরটা কেঁপে উঠেছিল ঘরে এসে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ধুপ চালিয়ে প্রার্থনা জানালো তুমি যেই থাকো আমার বন্ধু হয়ে থাকোআমি তোমার কোন ক্ষতি করব না তুমি আমার ক্ষতি করোনা

একদিন ভাড়া বাড়িতে না ফিরে নতুন বাড়িতে থেকে গেল রাত তখন প্রায় নটা, কানে এল রান্নাঘরে কে যেন বাসুন নাড়ছে উঠে গিয়ে দেখতে গেল একটা ছায়া মূর্তি সরে গেলমনের সাহস নিয়ে ঠাকুরের নাম করে একটা সিগারেট ধরিয়ে বসে বসে ভাবছে আমি কি ঠিক শুনছি ঠিক দেখছি ভাবতে ভাবতে সময় গড়িয়ে গেলতাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে চকিতে শুয়ে শুয়ে ভাবছিল ঘুম এসে গিয়েছিল

মধ্যরাতে কোন একটা আওয়াজ কানে আসতে ঘুমের ঘোড় কেটে গেল মনে হচ্ছিল ভূপালের পাশে কেউ শুয়ে আছে ঘন ঘন নিশ্বাস পরছে বন্ধু তাড়াতাড়ি উঠে লাইট জ্বালিয়ে সিগারেট ধরালো আর ঈশ্বরকে স্মরণ করলোভগবান বিশ্বাসী লোক ছিল

ওর থেকে এমন বাস্তব এবং শিহরণ জাগানো ঘটনা শুনে আমি ওর বাড়িতে যেতে চাইলাম কারণ নিজে চাক্ষুষ কিছু দেখতে পাই

(পরবর্তী অংশ পরবর্তী সংখ্যায় দেখুন)

 

__________________________________________________________

 

 

 

__________________________________________________________

_______

 

 

 

 

 

 

 

  

Loading