শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে সুষম খাদ্যের যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন সঠিক সময়ে হজম হওয়াও। অন্যথায় কমবেশি সবাইকে শারীরিক নানা সমস্যা পোহাতে হয়। পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে খাবার সঠিক উপায়ে পরিপাক এবং ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করতে হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করা চাই সবার আগে। জেনে নিন হজম প্রক্রিয়া ভালো করতে কী করতে পারেন-

সবুজ শাক, ফলমূল এবং গোটা শস্য খেতে হবে

শাকসবজি, ফলমূল এবং গোটা শস্য সবই ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস।

ফাইবার খাদ্যকে পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে আরো সহজে এবং সম্পূর্ণরূপে পরিপাক করতে সাহায্য করে। তাই হজম প্রক্রিয়া সহজ ও স্বাভাবিক করতে খাদ্যতালিকায় এ ধরনের খাবার রাখা আবশ্যক।

লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই কম

কিছু খাবার হজম হতে সময় নেয়। সেসব খাবারের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে রেড মিট বা লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন- ফাস্ট ফুড খাবার, কোমল পানীয় ইত্যাদি।

পরিপাকক্রিয়া ভালো রাখতে হলে এসব খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। অন্যদিকে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে লাল মাংস বা রেড মিট হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর পেছনে কাজ করে। তাই এ ধরনের খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো।

ডায়েটে প্রোবায়োটিক যোগ করতে পারেন

এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতিকারক উপাদানগুলোকে কাছে ভিড়তে দেয় না।

ফলে পরিপাকক্রিয়া সহজ হয়ে যায় অনেকটাই। এ উপকারী ব্যকটেরিয়া পাওয়া যায় দই, মাঠা ইত্যাদি খাবারে।

প্রাত্যহিক ব্যায়াম

শরীরকে যতটা সম্ভব সক্রিয় রাখুন। কেননা সক্রিয় শরীর কিন্তু পরিপাকতন্ত্রকেও সচল রাখে। খাবারের পর হাঁটাহাঁটি করলে অম্লভাব এবং ফোলাভাব প্রতিরোধ করা যায়।

অন্যদিকে প্রাত্যহিক ব্যায়ামের অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে ক্যান্সার এবং পাচনতন্ত্রের অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমে।

পর্যাপ্ত ঘুম

ঘুমের অভাব স্থূলতার সঙ্গে যুক্ত, কেবল তাই নয়, এটি পাচনতন্ত্রের সমস্যাতেও ভূমিকা রাখে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প কিছু নেই।

সূত্র: হেলথলাইন

__________________________________________________________

 

 

 

__________________________________________________________

__________________________________________________________

 

 

 

 

 

 

 

 

  

Loading