প্রকৃতির ভারসাম্য
কলম – মহামায়া রুদ্র
বালী , জেলা: হাওড়া
বৈশাখের ঐ দাব দাহে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন।
যাদের ঘরে এসি আছে তারা সুখের নিদ্রায় আচ্ছন্ন।
কিন্তু যারা আছে শুয়ে ওই ফুটপাতে
তাদের কথা আর কে ভাবে?
লোভের নেশায় বিবেক হারিয়ে ধ্বংস করছে সমাজটাকে ,
রোদ্র তাপে দগ্ধ হচ্ছে পশুপাখি মানুষ চারিদিকে।
খাল ,বিল, পুকুরের জল সব ফুটছে।
তপ্ত জলে মাছ ব্যাঙ শামুক ঝিনুক সব মরছে।
আমাদের ভুলে এই ধরা তলে দাবানল জ্বলছে।
অক্সিজেন আর জলের সংকটে প্রকৃতি তার ছন্দ হারাচ্ছে।
কত যে দুর্ঘটনা ঘটছে অবিরত,
কে তার হিসাব রাখে অতশত।
মানুষের আজ বেড়েছে অনেক লোভ,
প্রকৃতি তাই গর্জে উঠেছে নিচ্ছে তার প্রতিশোধ ।
আরো চাই আরো চাই বলে করছে ক্ষমতার ব্যবহার,
কাটছে গাছ করছে প্লাস্টিকের ব্যবহার ,করছে আরো কত অনাচার।
গাড়ির ধোয়ার দূষণ , জলের অপচয়,
প্রকৃতি আর ও কত কি যে সয়?
গাছেরা হয়েছে নিষ্প্রাণ পাখিরা করতে চায় না গান ,
এখনো সচেতন হও হে মানুষ
সবুজ বাঁচাও জল বাঁচাও দূষণমুক্ত করো” পৃথিবী।তোমরা বাঁচ আর আগামী প্রজন্মকে বাঁচাও।
গোলাবারুদ যুদ্ধ আর নয়”
মানুষ এখনো সাবধান হও।
চারিদিকে বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট হচ্ছে
আর প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে।
লোভের উপর মারো তালা,
নইলে পথ হারাবে সকাল বেলা ।
লক্ষ্য মানুষের দীর্ঘশ্বাসে জীবন এক নিমেষেই হবে নিধন।
এখনো সময় আছে ওঠো জাগো এগিয়ে চলো সবুজ বনানী ঘেরা পৃথিবী গড়ো। সাজুক পৃথিবী নতুন করে আগামী প্রজন্মের মুখ চেয়ে।
…………………………………………………………………………………………………………..
মহামায়া রুদ্র রচিত এবং পম্পা ঘোষ-এর কন্ঠে একটি আবৃত্তি ‘বিদায় পৃথিবী’