অনেক দামি

✍️ – কলমে: সুমিতা পয়ড়্যা

কল্যাণী, নদীয়া

 

তুমি এত দুঃখ দেবে

এত যন্ত্রণা তো আমি আর নিতে পারবো না

ভালবাসলে নাকি কাঁদতে হয়!

ওই কান্না ভেজা নোনা জলের প্রাচীর ফিসফিস করে বলে ওঠে—

আর কত দুঃখ তুমি নেবে

সেই কবে থেকে কষ্টগুলো নিয়ে চলেছ

অসুখ করবে যে—

তুমি ঈশ্বরের কাছে যাও

তুমি প্রকৃতির সাথে কথা বলো।

ঈশ্বরের কাছে গেলাম—

প্রকৃতিকে কানে কানে বললাম-যন্ত্রণার শেষ কোথায়?

ঈশ্বর বললেন, মানবের মাঝে।

প্রকৃতি বললেন, অনেক অনেক ভালোবাসায় তার শেষ।

ভালোবাসায় ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াও,

নীরব যন্ত্রণা যে বিনাশের মুহূর্ত ভাগ ,

ভালোবাসা কখনো মিথ্যে হয় না ;

ভালোবাসা দিলে তা ফেরত আসে বিত্তবানের সম্পদের মত।

ভালোবাসায় ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম—

ভালোবাসাকেই জড়িয়ে ধরলাম—

ভালবাসাকেই মেলে দিলাম উড়ন্ত আঁচলে—

ছড়িয়ে পড়ল, ভাসতে লাগল, উড়তে লাগল আকাশ বাতাস জুড়ে

কী তার প্রাচুর্য; কী তার প্রাবল্য

কী যেন এক পূর্ণতার পাত্র ভরে উঠল!

এ যেন এক বিস্ময়করঐশ্বর্য!

ঐশ্বর্য বললে ভুল হবে; ঐশ্বর্যের চেয়েও যে অনেক দামি।

ভালোবাসা যেন এক অমৃত!

পান করলেই পরম তৃপ্তি; সদা আনন্দময়

প্রাণে রস সঞ্চারে উল্লসিত এক অনন্য প্রাপ্তি।

আহা! কি শান্তি! কি শান্তি!

যেন দূরের পাহাড়ের গা থেকে ভেসে আসা সেই সুর অনির্বচনীয় শান্তির বাণী—

“বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি

 ধম্মং শরণং গচ্ছামি

 সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি….।”

Loading