কবিতা – রক্ত বর্ণের গরিমা

কলমে – নীলিমা বিশ্বাস পাল

 

জীবনের শুরু থেকে শেষ লাল।

নীল সবুজ আকাশি বাহারীর মাঝে আমি খুঁজি রক্ত বর্ণ।

রাঙা সিঁথি,লাল পলা, পায়ের আলতা সবেতেই লোহিতের ফাঁক ফোকর।

নর পিশাচ,নর খাদকের লেলিহান শিখার করাল খঞ্জর থেকে নিষ্কৃতির জন্য জন্ম এর।

আমার মধ্যে ও মিশেছে পরতে পরতে, আমি ও তো মানুষ।

তোদের কোন সত্ত্বা নেই, তবুও আমি লোহিত।

আমার নেই কোন রঙীন স্বপ্নের ভবিষ্যৎ,আর না আছে সাদা কালো অতীতের ঘনঘটা।

আমি খুঁজে ফিরি তোকেই,

শেষ লগ্নে চিতাই উঠে লাল আগুনের শোকে চোখ রক্তে ভিজে যায়,

সন্ধ্যে নামলে মিশে যায় দূর আকাশে,

নিকষ কালো শুষে নেয় আমার রক্ত বর্ণ।

লাল রঙের কাপড়ে বাঁধা পড়ে দুটি মন,

টকটকে লাল ঠোঁটে দমকা প্রাণোচ্ছল হাসি,

সে হাসি চিরস্হায়ী না,তা ক্ষণ স্থায়ী,

এ লাল কালচে লাল।

আমি হাতড়ে বেড়াই নীল,বেগুনী,গোলাপী আলোর ভিড়ে।

আমি যে ভালোবাসি রক্তিম কে।

যে জীবন শুরু হয় মায়ের লোহিত বর্ণে,সেই ভস্মীভূত হয় অগ্নিশিখার ঐ রক্ত বর্ণ।

বিপদ সংকেত যতোই ওড়াক, মুক্তির নিশানা জীবনেই থাকে।

শেষ জয় হয় রক্ত দিয়ে।

কখনো দুঃখের, কখনো গর্বের, কি বিচিত্র এই লোহিত।

সূর্যের অন্তিম মুহূর্তে প্রকৃতিও হয় রক্ত বর্ণ।

গোধূলির আমন্ত্রণে প্রেমিকের আলতো ছোঁয়ায়,

প্রেমিকাও হয় লজ্জায় রাঙা।।

Loading