লগ্নভ্রষ্টা
কলমে – নবলতা শীল
রাঙা বর আর জুটলো না কপালে,
রয়ে গেল সারা জীবন মেয়েটা আই-বুড়ি।
এখন বেনারসি শাড়িটা আছে আলমারিতে,
নেড়েচেড়ে দেখে, আর চোখের জল পড়ে।
ভাবেনি সে, তার বিয়েটা আর হবেনা।
সামান্য একটা মোটর বাইক চেয়েছিল ছেলের বাবা-
হেঁসে বলেছিল,মেয়ের বিয়ে দেবেন, খরচ করবেন না?
সামান্য আবদার এইটুকু, দিতে পারবেন না
কি বেয়াইমশাই ! ছেলে তো আমার হীরের টুকরো
সে আপনার মেয়েটাকে খুব যত্নে রাখবে!
তবে দেনা পাওনাটা আগে মিটিয়ে নিন
না’হলে আবার অনেক সমস্যা হবে ।
আমি আবার, ধার বাকি, পছন্দ করিনা
কুসুমের বাবার চোখ বেয়ে জল পড়ে।
বলে আমার একমাত্র মেয়ে, আমার সবই তো মেয়েই পাবে।
তবুও তো একটা মান সম্মান আছে,
মেয়ের বাবার কাতর মিনতিতে কোন কাজ হলোনা
বরের বাবা বলে উঠলো, এ বিয়ে বন্ধ।
ছেলের হাত ধরে , বেরিয়ে
গেলেন,
শ্মশানের মত নীরবতা নেমে আসলো সেখানে ;
কে যেন বলে উঠলো মেয়েটা তো, লগ্নভ্রষ্টা হল ।