কবিতা – কন্যাদান

কলমে এবং কন্ঠে – ডঃ মধুমিতা_দেব

Deb Villa, 148/6 Mali Bagan, Lane no. 7, Kaikhali, Kolkata- 700052

 

(1)

সুমির সাথে সাতটি বছর,করল রাজা পার,

এইবারেতে করব বিয়ে,চিন্তা কি ভাই আর?

কিসের চিন্তা? সেইটা মাথায়,আসছে বারে বারে,

কেমন করে করব পাস,শ্বশুরের দরবারে?

 তবে শ্বশুর মানুষ ভাল,একটি মাত্র মেয়ে,

সারাজীবন জমিয়েছেন সব,মেয়ের মুখটি চেয়ে।

বড় মাপের সরকারী চাকরী করেন আজও,

 তারই সাথে করেন কিছু,সমাজ সেবী কাজও।

শাশুড়ি-মা অনেক আগেই,হয়ে গেছেন গত,

ধীরে ধীরে শুকিয়ে গেছে,ওনার মনের ক্ষত।

বাড়ী,গাড়ী,গয়না-গাটি,সবই পরে আছে,

টপকে গেলে শ্বশুরমশাই,জামাই সবই পাবে।

সবই জেনে চলল রাজা,হবু শ্বশুরবাড়ি,

না চাইতেই পাওয়া যাবে, টাকা, গাড়ী, বাড়ী।

                          (2)

সুমির বাবা ছিলেন বসে,আরাম-কেদারাতে,

ঢুকেই রাজা করল প্রনাম,করতে খুশি তাকে।

সব পরিচয় দেওয়ার পরে,পারল আসল কথা,

 শুনেই শ্বশুর ভীষন রেগে,বলল,”বেরো ব্যাটা।”

 নাছোড় রাজা কেঁদে পড়ে,শ্বশুর বাবার কাছে,

“মরেই যাব,সুমি ছাড়া,আমার কি বা আছে।

ধন-রত্ন,গাড়ী,বাড়ী,চাইনা কিছুই আমি,

আপনার মেয়ে জীবনে আমার সবার চেয়ে দামী।”

নরম হয়ে বলেন শ্বশুর,”ওয়েল,মাই সন্,

কি আর করা যাবে,যখন নিয়েছ মেয়ের মন।

সুমি মাকে তোমায় তবে,দিলাম এবার দিয়ে,

আমিই বা করব কি,ধন-সম্পদ নিয়ে?

পন না নিয়ে রাখলে তুমি,তোমার নিজের মান,

তাই তো এ বার এন.জি.ও-তে করব সবই দান।

বাবাজীবন,এবার খুশি?করে ফেল বিয়ে,

সুখী থেকো,ভাল থেকো,আমার কন্যা নিয়ে।”

Loading