কবিতা – “গোধূলি আঁকা বুড়ো”

কলমে:- রঞ্জন সরকার

 

মেঘের উপর বসে ছবি আঁকছে এক বুড়ো,

গোধূলি বেলায় ছড়িয়ে দিচ্ছে হরেক রঙের গুঁড়ো।

কখনো দেখি উল্টে দিচ্ছে রং পট

জল ঢেলে সব মিটিয়ে দিচ্ছে ঝট পট

          আঁকছে কিছু! বুঝছি না তো

                      কোনটা লেজ, কোনটা মুড়ো।

মেঘের উপর মেঘের খেলা রঙের উপর রং

বুড়ো হলো ভাবুক আর্টিস্ট অদ্ভুত তার ঢং।

এই দেখি আঁকলো একটা ভল্লুক

নিমেষেই তা ফুল হলো লাল টুক টুক

আবার দেখি জোকার আঁকে অবাক করা সং।

এই তো দেখি আঁকলো বসে ছাই রঙা এক ইঁদুর

সেটাই দেখি বেড়াল হল, আবার দেখি বাদুড়।

শুয়ো পোকা, ডাইনোসর এবং বিশ্বকবি

এঁকেই চলে  শিল্পী বুড়ো, এটাই তার হবি

আবার দেখি ছড়িয়ে দিল কেজি খানেক সিঁদুর।

বুড়ো কে বলবো আঁকো তুমি সেই বাচ্চার মুখ

কাগজ কুড়োই, পায় না খেতে, মনে কেবল দুখ।

তাদের জন্য ভাবো বুড়ো,

তাদেরকে জন্য করো

জীবন হবে সার্থক, সেটাই আসল সুখ।

অনেক ছবি লিখলে তুমি আকাশ ক্যানভাসে

অনেক রাজা, অনেক যুদ্ধ, রক্তে সবই ভাসে।

সেই মেয়ে টা ফুলের মতো

হাসি মুখে ক্ষুদার ক্ষত

তবুও দেখো, নেই কো দুখ

প্রাণ ভরে সে শুধুই হাসে।।

Loading