মানুষ
কলমে- স্বপ্না মজুমদার
সেদিন বুদ্ধ পূর্ণিমার পূণ্য তিথিতে
কপিলা বস্তু রাজ্যে লুম্বিনীতে জন্মেছিলেন
এক দেব শিশু,
পিতা ছিলেন রাজা শুদ্ধোধন
মাতা মায়া দেবী।
তোমায় ভালোবেসে নাম,দিয়েছিলেন
তোমার পিতা মাতা,
গৌতম নামে বিভূষিত হলে।
শাক্য বংশের ছেলে তুমি,রাজ পুত্র ছিলে
বড় হলে ধীরে ধীরে, কিন্তু মানুষের দুঃখ কষ্টে
কাতর মন,এলো মোহ মুক্তি ভাব।
পিতা তোমায় চাইলেন সংসারী করতে
বিয়ে হলো, যথাসময়ে,
স্ত্রী যশোধরা এলো ঘরে।
জড়ালে স্নেহ মায়ায় তুমি,এলো পুত্র রাহুল
যশোধরার কোলে,
উদাসী মন তোমার,হলো মোহভঙ্গ
ত্যাগ করলে সংসার তুমি
এক আঁধার রাতে,
মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়স তখন তোমার
বুঝে ছিলে ওটুকু সময়েই সংসার তরঙ্গ।
হলো তোমার মোহমায়া ভঙ্গ,সাঙ্গ করলে
সংসার জীবন,ত্যাগ করলে, বিলাসী জীবন
সুখ স্বাচ্ছন্দ যতো।
সন্ন্যাস ধর্ম গ্ৰহণ করে গয়ায় কঠোর তপস্যা
করলে শুরু,এক অশথ্থ বৃক্ষের নীচে
বোধি জ্ঞান লাভ হলো
হলে,গৌতম বুদ্ধ।
নগরের পথে পথে প্রচারিত হয়েছে
অহিংস বানী, তোমার ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের মনে
আলোর প্রদীপ জ্বেলেছে,
বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা তুমি,দেশে বিদেশে
ছড়িয়ে পড়েছে তোমার ধর্মের বানী।
আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে করজোড়ে
শতকোটি প্রনাম জানাই তোমার
কমল চরণে।
বুদ্ধং শরণম্ গচ্ছামি
ধরমং শরণম্ গচ্ছামি
সংঘং শরণম্ গচ্ছামি।।